উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:
আজ মঙ্গলবার (২০,নভেম্বর):২৭৪:নড়াইলের সড়কগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে স্পিড ব্রেকার তৈরি করায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত পাঁচ বছরে শুধু স্পিড ব্রেকারে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ।
সড়ক বিভাগ ও এলজিইডি সূত্র বলছে, সড়কে স্পিড ব্রেকার দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। সড়ক বিভাগের ১৭০ কিলোমিটার সড়কে স্পিড ব্রেকার রয়েছে অর্ধশতাধিক। আর এলজিইডির অধিনে প্রায় ৭শ কিলোমিটার পাকা সড়কেও রয়েছে অসংখ্য স্পিড ব্রেকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কালনা-যশোর মহাসড়কে নড়াইল নতুন টার্মিনাল থেকে কালনা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তায় স্পিড ব্রেকার রয়েছে অন্তত ১৮টি। নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার বাড়ির সামনে (কালনা-যশোর মহাসড়কে) রয়েছে বড় ২টি স্পিড ব্রেকার। গ্রামের অনেক প্রভাবশালীদের বাড়ির সামনেও রয়েছে অসংখ্য স্পিড ব্রেকার।
বিভিন্ন সড়কের ছোট বড় বাজারের পাশেও রয়েছে ১/২টি করে স্পিড ব্রেকার। ঠিকাদাররা বলেন, সড়ক মেরামত করার সময় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজ নিজ বাড়ির সামনে স্পিড ব্রেকার দিতে বাধ্য করে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে সড়ক বিভাগের এক কর্মকর্তা একুশে মিডিয়াকে জানান, সড়কে স্পিড ব্রেকার দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কারণে যত্রতত্র সড়কে স্পিড ব্রেকার দিতে তারা বাধ্য হয়।
নিরাপদ সড়কের (নিসচা) নড়াইল জেলা সভাপতি অভিযোগ করে একুশে মিডিয়াকে বলেন, স্পিড ব্রেকারের দু'পাশে কোন সর্তকতামূলক চিহ্ন দেওয়া নেই। নেই কোনো সাইন বোর্ড। একটা স্পিড ব্রেকারও পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়নি। যার ফলে প্রতিনিয়ত এই স্পিড ব্রেকারের জন্য ঘটছে দুর্ঘটনা। তিনি মনে করেন স্পিড ব্রেকারই সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ।
নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন একুশে মিডিয়াকে বলেন, সড়কে কোনো স্পিড ব্রেকার দেয়া হয় না। প্রশাসন এবং স্থানীয়দের অনুরোধে অনেক সময় র্যাম্বল স্ট্রিপ দেয়া হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment