এবিএস রনি, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরে দুটি আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। জোটের শরিকের দাবি সুরাহা না হওয়ায় ওই দুটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। বাকী ৪টি আসনে বিকল্প প্রার্থী রেখেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কার বিকল্প কে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন, সেটি ৯ডিসেম্বরের আগে জানা যাচ্ছে না।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। যশোর-২ (ঝিকরগাছা- চৌগাছা) ও যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন নিয়ে জোটের সঙ্গে দরকষাকষি চলছে। এজন্য এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি ও শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান জহিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মফিকুল হাসান তৃপ্তি কথিত সংস্কারপন্থী হিসেবে বহিস্কৃত হন। দশ বছর ধরে তিনি দলের বাইরে ছিলেন। তফশীল ঘোষণার পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান জহির দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় গণসংযোগ করছেন। একাধিক মামলায় আসামিও হয়েছেন।
যশোর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সাবেরুল হক সাবুকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম ছিলেন বিএনপির প্রার্থী। গত ৪ নভেম্বর তার মৃত্যুতে ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান তার সমর্থকরা। তবে তরিকুল পরিবারকে ছাড় দিতে নারাজ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সাবেরুল হক সাবু। যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আবাহক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফারাজি মতিয়ার রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে অল্প ভোটে পরাজিত হন টিএস আইয়ুব।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপির তিনজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপি নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ ও কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment