উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:
দেশি মাছের ভা-ারখ্যাত ইছামতি ও চাঁচুড়ি বিলসহ নড়াইলের বিভিন্ন খাল-বিলে ধরা পড়ছে নানা প্রজাতির মাছ। সারা দিন ধরে বিভিন্ন বয়সী মানুষ মনের আনন্দে মাছ ধরছে।
নড়াইল সদর উপজেলার নলামারা বিল, কাড়ার বিল, সলুয়ার বিল, রামেশ্বরপুর বিল, ফুলশ্বর, ঝিকরা, ভবানীপুর বিল, গজাইলের বিল, চর মালিডাঙ্গা বন্দরের বিল, হাড়িডাঙ্গা খাল, শিয়ে পাগলা খামার খাল, শোলপুর বিল, কালিয়া উপজেলার পাটেশ্বরী বিল, কালিয়াধার বিল, শুলারডোপ, পিরোলী খাল, কচুয়া বিল, মুলশ্রী খাল, পাখিমারা খাল, লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি বিল, মাউলি বিল, গুরুলের বিল, ধোপাদাহ খাল, সাতরা খাল, বাড়ীভাঙ্গা খাল, কাটাখালি খাল, মনদকর খাল, তুষখালীর বিলসহ অসংখ্য খাল- বিল রয়েছে।
এসব বিলে পুঁটি, সরপুঁটি, কই, শিং, মাগুর, টেংরা, শোল, গজাল, টাকি, ফলি, বাইন, বেলে, পাবদা, বোয়াল, রয়নাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। প্রতি বছর বৈশাখ মাসে ডিমওয়ালা মাছ এসব বিলে ডিম ছাড়ে। বর্ষা মৌসুমে বিলের পানিতে মাছের আকার দ্রুত বাড়ে। বর্ষা শেষে পানি কমতে শুরু করায় মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়। ইছামতি পাড়ের বাসিন্দা লিটন মোল্যা বলেন, প্রতি বছর ইছামতি বিল থেকে কয়েক কোটি টাকার দেশি মাছ ধরা পড়ে। জেলেদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও শখ করে মাছ ধরে। সদর উপজেলার হোগলাডাঙ্গা, মাইজপাড়া, লোহাগড়া উপজেলার চরব্রাহ্মণডাঙ্গাসহ কয়েকটি এলাকায় শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। এখানকার শুটকি চাতাল থেকে মৌসুমে ৩ হাজার মণের বেশি শুঁটকি মাছ দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম এনামুল হক বলেন, নড়াইলের মাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তী জেলায় চলে যায়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় মা মাছ নিধন বন্ধে অভয়াশ্রম স্থাপন করা হচ্ছে। দেশি মাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে মিমিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment