একুশে মিডিয়া, মঈনউদ্দীন ষ্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। নির্বাচন ঘিরে আসন ভাগাভাগির মহড়াও চলছে। সেই ভাগাভাগিতে মহাজোটের শরিক দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের কাছে ২৩টি আসন চেয়েছেন যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী)। তবে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সাতটি আসনের ব্যাপারে তাকে প্রাথমিকভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ৭টি আসনের মধ্যে ছয়টিতে বিকল্পধারা বাংলাদেশের ‘হেভিওয়েট’ ছয় প্রার্থী লড়বেন। বাকি আসনটিতে লড়বেন যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি।
যুক্তফ্রন্টের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩টি আসন না ছাড়লেও যুক্তফ্রন্ট চেষ্টা করবে অন্তত ১০ থেকে ১২টি আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করার। যুক্তফ্রন্ট নেতারা মনে করছেন, জোট হিসেবে ছোট হলেও যুক্তফ্রন্টে কমপক্ষে ১৫ জন সম্ভব্য প্রার্থী আছেন যারা অতীতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী অথবা সংসদ সদস্য ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জোট শরিকদের জন্য ৬০ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেখান থেকেই সাতটি আসন বি. চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আলোচনা করতে গিয়ে যুক্তফ্রন্টের ২৩ জন আগ্রহী প্রার্থীর নামের তালিকা দেন বি. চৌধুরী।
জানা গেছে, এই ২৩ জনের মধ্য থেকে অন্তত ৭ জনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর ওবায়দুল কাদের বি. চৌধুরীকে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তফ্রন্ট যেন দু’জন নেতার নাম পাঠায়।
এরই মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment