হরিপুরে বহুগুণ লজ্জাবতী ফুলের সুভাষ। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 27 November 2018

হরিপুরে বহুগুণ লজ্জাবতী ফুলের সুভাষ। একুশে মিডিয়া



হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: জহরুল  ইসলাম (জীবন):
বাংলায় লজ্জাবতী অথবা লজ্জাবতী লতা, লজাক। সংস্কৃতিতে লজ্জালু। ইংরেজি 
sensitive plant,touch-me-not| । বৈজ্ঞানিক নাম 
Mimosa pudica| Fabaceae । ঋধনধপবধব গোত্রের এটি একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে। তবে বর্তমানে বিশ্বের সব জায়গায় এটি ছড়িয়ে পড়েছে। 
প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী হরিপুর উপজেলার সব অঞ্চলেই যেমন- নদী ধার, জলাভূমি, ঝার-জঙ্গল, চরাঞ্চল শুকনো রুক্ষ এলাকা কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় লজ্জাবতী লতা বেড়ে ওঠে। 
গাছগুলোর কা- সর্বোচ্চ ৫ ফুট পর্যন্ত দেখা যায়। তবে ভূমি সংলগ্ন হয়ে অবনতভাবে বৃদ্ধি পায়। এ কারণে খাড়াভাবে এই গাছ বেশি উচ্চতার মনে হয় না। কোনো কোনো জাতের লজ্জাবতী খাড়াভাবেও জন্মে থাকে। এর কা- কাষ্ঠাল, কণ্টকযুক্ত এবং গোলকার। কা-ের গাত্র লোমাবৃত। এর পাতা দ্বিপক্ষল যৌগিক। পত্রবৃন্তের অগ্রভাগ থেকে উৎপন্ন হয়। শাখা পত্রদ-ের সাথে ক্ষুত্র ক্ষুত্র পত্রকগুলো যুক্ত থাকে। পত্রমূল স্ফ্রীত এবং এর গায়ে লোম থাকে। এর উপপত্র কণ্টকে পরিণত হয়।
এর পাতা স্পর্শ করলে পত্রকগুলো প্রসারিত অবস্থা থেকে গুটিয়ে যায় এবং পত্রদ-সহ পাতা নুয়ে পড়ে। কয়েক মিনিট পরে গাছের পাতা আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। এছাড়াও সন্ধ্যা বেলাতেও পাতা বন্ধ হয়ে যায়। মূলত সিসমোন্যাস্টিক চলন (ঝবরংসড়হধংঃরপ গড়াবসবহঃ)-এর প্রভাবেই এর পাতা বন্ধ হয়ে যায়। স্পর্শের কারণে এই ভাবে গুটিয়ে যাওয়ার জন্য সংস্কৃতিতে একে লজ্জালু বলা হয়েছে। এই সূত্রে বাংলাতে এই গাছকে লজ্জাবতী বলা হয়। 
থোকায় থোকায় ফুল ফোটে । এর ফুল বেশ নরম। ফুলের রঙ ফিকে লাল বা ফিকে বেগুনি। ফুলের বোঁটা ২ ইঞ্চি পরিমিত লম্বা হয়। পত্রের গোড়া থেকে ফুল বের হয়। ফুলগুলো প্রতিসম, সম্পূর্ণ, উভলিঙ্গ এবং গর্ভপাদপুষ্পী। এর দলম-লের সংখ্যা ৪টি, ফুলের গোড়ায় ৪টি সংযুক্ত বৃত্যংশ আছে। পুংকেশর ৪টি এবং গর্ভপত্র ১টি। পুষ্পমঞ্জরী বলের মতো দেখায়। জুলাই থেকে ডিসেম্বর মধ্যে ফুল ও ফল  বেশি হয়। এর ফলগুলো চ্যাপ্টা, বাঁকা-লম্বাটে অথবা গুঁটি আকারের হয়। ফলের ভিতরে ২-৪টি বীজ থাকে। 
ভারতীয় বনৈৗষধি দ্বিতীয় খ- সূত্রে, আয়ুর্বেদে পিত্তদোষ নিবারণের এর রস সেবন করার বিধান আছে। এছাড়া অর্শ ও ভগন্দরের জন্য এই গাছের রস ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। পাথরী রোগ নিবারণে এর শিকড়ের ক্বাথ ব্যবহৃত হয়। পাতাসহ গাছ বেঁটে কাঁকড়াবিছার দংশনের স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায় বলে লক্ষ্য করা যায়। 
এছাড়াও আরো অনেক গুণ রয়েছে লজ্জাবতী লতায়।


একুশে মিডিয়া/এমএ


No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages