নড়াইলের এলজিইডি'র তিন মাসের কাজ ১৯ মাসে শেষ হয়নি!-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, 14 November 2018

নড়াইলের এলজিইডি'র তিন মাসের কাজ ১৯ মাসে শেষ হয়নি!-একুশে মিডিয়া


উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: 
নড়াইলের-লাহুড়িয়া সড়কের শিয়রবর থেকে মাকড়াইল পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার অংশে এ অবস্থা। থেকে উত্তর এলাকায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। এ সড়ক ব্যবহার করে পাশ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা ও মোহাম্মদপুর উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়। সড়কটি দিয়ে এ এলাকার লাহুড়িয়া, শালনগর, নোয়াগ্রাম, কাশিপুর ও জয়পুর ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, নড়াইলের মাকড়াইল কেকেএস ইনস্টিটিউশন, রঘুনাথপুর আলিম মাদ্রাসা, শালনগর মর্ডান একাডেমিসহ আট শিক্ষাপ্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা এ সড়ক ব্যবহার করে।
সড়কের পাশে লাহুড়িয়া, মাকড়াইল, বাতাসি, মন্ডলবাগ, শিয়রবর ও মানিকগঞ্জ এই এলাকার বড় বাজার। বাজারে পণ্য পরিবহনে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে। চলাচল করে যাত্রীবাহি বাস ও অসংখ্য অটোরিকশা।
পিচ ঢালাই সড়কটি ছিল ভাঙাচোরা। সেটি কার্পেটিং করতে খুড়ে খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে গত ১৯ মাস ধরে। অথচ কার্যাদেশ ছিল তিন মাসে কাজ শেষ করার।
সড়কের পাশের বাসিন্দা গৃহবধূ চায়না বেগম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান,  গাড়ি চরাচলে বা সামান্য বাতাসেই লাল ধুলায় ময়ময় হয়ে যায় বাড়িঘর। ঘরের কাপড়েও ধুলার স্তুপ। খাবারের সঙ্গে ধুলা যায় পেটে। নিশ্বাসের সঙ্গে যাচ্ছে ফুসফুসে। কিন্তু এ বলে কারোর নড়চড় নেই।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ সড়কটি সংস্কার করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কাজ সমাপ্তির মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের ২৯ জুন। সড়কটির শিয়রবর থেকে মাকড়াইল পর্যন্ত তিন দশমিক ৬৩ কিলোমিটার অংশ মেরামত করতে এক কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। ঠিকাদার ছিলেন ফরিদপুরের এ কে এম আকরামুজ্জামান।
স্থানীয় শালনগর ইউপি সদস্য মো. ইয়ার আলী জানান, সড়কের এ দুর্দশার কারণে পার্শ্ববর্তী মানুষ ধুলায় যেমন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, তেমনি যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ মোশারেফ আলী বলেন, ওই ঠিকাদার কাজ ফেলে রাখায় ছয় মাস আগে তাঁর কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। এখন বাকি কাজের পরিমাপ করা হচ্ছে। পরিমাপ শেষে নতুন করে টেন্ডার হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages