ভুল প্রশ্নে জেএসসি পরীক্ষা, ৩০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে!-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, 14 November 2018

ভুল প্রশ্নে জেএসসি পরীক্ষা, ৩০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে!-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, কক্সবাজার রিপোর্ট:
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় ভুল প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হলো জেএসসি পরীক্ষা। আজ বুধবার (১৪ নভেম্বর) টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
এইদিকে টেকনাফ এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহপরীরদ্বীপ হাজি বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
একই দিন পরীক্ষা শেষে এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। এসময় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজারকে বিষয়টি জানানো হয়।
পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে সেই প্রশ্নপত্রে দেখা যায়জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা-২০১৮ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী অভীক্ষা) সেট-০১নিচে লিখা রয়েছে ২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী। পূর্ণমান ৬০+৪০। বিষয় কোড-১১১।
অপরদিকে যেটি ২০১৮ সালের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সঠিক প্রশ্নপত্র তাতে দেখা যায় সেটিও হুবহু একই রকম ছাপানো। সেই প্রশ্নটিতে নিচে ২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী সেই লেখাটি নেই। তাছাড়া নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের মান রচনামূলক ৭০ ও নৈর্ব্যক্তিক ৩০।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছেএ প্রশ্নপত্রটি কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে ২০১৬ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য। কিন্তু কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভুলে সেই প্রশ্নপত্রটি দিয়েই নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করেন। এতে উক্ত ৩০ পরীক্ষার্থী ঠিকমতো উত্তর লিখতে পারেনি। ফলে তাদের উক্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া পরীক্ষার্থী আসমাউল হুসনাতানজিনা মনিরাফিফা আক্তারফরিদা ইয়াছমিনের সাথে এজাহার বালিকা বিদ্যালয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে কথা হয়।
তারা জানায়এজাহার বালিকা বিদ্যালয়ের ১৬ জন ও শাহপরীরদ্বীপ হাজি বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জনসহ মোট ৩০জন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিল। বুধবার যথারীতি ইসলাম ও নৈতিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারা। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর একপর্যায়ে প্রশ্ন কমন না পড়ায় তাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি ওই কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষককে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক কোনও ব্যবস্থা নেননি। পরে পরীক্ষা শেষে ওই কেন্দ্রের শিক্ষকরা বিষয়টি স্কুলে অথবা বাড়িতে গিয়ে না বলার জন্য পরীক্ষার্থীদের শিখিয়ে দেন।
এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলী রাণী চৌধুরী জানানবিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ওই কেন্দ্রে এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর হোসেনের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও মোবাইল সংযোগ না দেওয়ায় বক্তব্য জানা যায়নি।
অপরদিক উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুল আবছার দাবী করেনভুল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণ করলেও কোনও অসুবিধা হবে না। সেই ৩০ পরীক্ষার্থীর খাতা আলাদাভাবে প্যাকেট করা হয়েছে। তাদের আলাদাভাবে মূল্যায়ন করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আরটিভি অনলাইন সূত্র একুশে মিডিয়া রিপোর্ট।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages