একুশে মিডিয়া ডটকম:
টাঙ্গাইল হাসপাতালে কোটি টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, রোগীর ভোগান্তি, ৪ ঘন্টায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে ।
টাঙ্গাইলের বিদ্যুত বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বকেয়া বিদ্যুত বিল নিয়ে রশি টানাটানিতে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল জেলার সর্ববৃহত সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল।
এক কোটি ২৪ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি বিদ্যুৎ বিভাগ করলেও বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় প্রায় চার ঘন্টা চরম ভোগান্তি ও দূর্ভোগ প্রহাতে হয় জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা হাজারো রোগী ও তাদের আত্বীয় স্বজনদের।
শনিবার সকাল ৮টায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে জানা গেছে। পরে বেলা ১২টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিক্তিতে পুনরায় এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। এতে চার ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পরেছে হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হাজারো রোগী ও তাদের স্বজনরা।
টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাদত আলী জানান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
গত ৩ বছরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন বিদ্যুৎ বিল প্রদান করেনি। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ৪ বার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। তাই তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল এসে ৩ দিনের মধ্যে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রদান করবে মর্মে লিখিত দিয়েছে। যেহেতু এটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, তাই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পুনরায় হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ড. শরিফুল ইসলাম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। আমি ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে রওনা হয়েছি। হাসপাতালে পৌঁছার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।”
হাসপাতালের আরএমও ড. লোকমান আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ট্রেনিং এ আছেন বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।
No comments:
Post a Comment