একুশে মিডিয়া ডটকম :
গাঁজা নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণার শেষ নেই। কেউ বলছে গাঁজা মানুষের ক্ষতি করছে আবার কেউ বলছে উপকারি। বহুযুগ ধরে এই মারিজুয়ানা (গাঁজা) নিয়ে গবেষণা করে আসছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা বিভাগ। সে সব গবেষণা থেকে বের হয়ে আসছে গাঁজা নিয়ে অনেক তথ্য। হয়তো এসব তথ্য আপনি বিভিন্নভাবে শুনেও থাকবেন। তবে বিশ্বজুড়ে অবৈধ মাদক সেবনের তালিকায় ক্যানাবিস (গাঁজা) সবার উপরে।
কিন্তু জানেন কি? এবার প্রথম কোনো দেশে গাঁজার ব্যবহার বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিনোদনের উদ্দেশ্যে গাঁজার ব্যবহার বৈধ ঘোষণা করে মঙ্গলবার কানাডার পার্লামেন্টে একটি বিল পাশ করা হয়েছে। যার ফলে গাঁজার ব্যবহার বৈধ ঘোষণা করা ধনী দেশগুলোর প্রথম দেশ এটি।
সিনেটে ৫২-২৯ ভোটে বিলের সংশোধিত প্রস্তাবনাটি পাশ করা হয়। এর ফলে আগামী আট থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে কানাডায় গাঁজার সম্পূর্ণ বৈধ মার্কেট চালু করার ব্যবস্থা হতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল দল ২০১৫ সালের সফল নির্বাচনী প্রচারণার সময় গাঁজা বৈধ করার ঘোষণা দিয়েছিল। তাদের যুক্তি হচ্ছে, নতুন আইন করা হলে গাঁজা কম বয়সীদের নাগালের বাইরে রাখা যাবে এবং এ সংক্রান্ত অপরাধ কমিয়ে আনা যাবে।
একটি টুইটে ট্রুডো বলেন, ‘আমাদের শিশুদের জন্য গাঁজা জোগাড় করা খুব সহজ হয়ে গিয়েছিল। এতে করে অপরাধীদের ফায়দা লোটাও সহজ হয়ে পড়েছে। গাঁজা বৈধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের পরিকল্পনা সিনেটে পাশ করছে।’
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসেবে কানাডায় গাঁজা বৈধ করায় অন্যান্য যেসব দেশ একই পরিকল্পনা করছে তারা দেশটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
দেশব্যাপী গাঁজা বৈধ করার উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে কানাডার গাঁজা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্যানোপি গ্রোথ করপোরেশন, আফিরা ইনকরপোরেশন, হরাইজনস মারিজুয়ানা লাইফ সাইন্স ইটিএফ এবং অরোরা ক্যানাবিস ইনক্ররপোরেশন-এ বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়।
প্রথমে কানাডার সরকার জুলাই মাস থেকেই গাঁজা বৈধ করার পরিকল্পনা করছিল, কিন্তু তা ইতোমধ্যেই পিছিয়ে গেছে।
গাঁজা উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করবে ফেডারেল সরকার, কিন্তু এটি বিক্রির ক্ষমতা থাকবে প্রদেশ ও শহর কর্তৃপক্ষের।
বিলটির স্পন্সর টনি ডিন সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘৯০ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। আমার মনে হয় এটা সমাজ বদলে দেয়ার মত নীতি। সরকারের জন্য এটা বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।’
No comments:
Post a Comment