একুশে মিডিয়া:
বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয় ইউরোপের শক্তিশালী দল ফ্রান্স ও লাতিন আমেরিকার পরাশক্তি আর্জেন্টিনা। রাশিয়ার বৃহত্তম শহর কাজানের কাজান এরেনায় গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসা ফ্রান্সের সামনে ভঙ্গুর আর্জেন্টিনা দল শুরুতেই আক্রমণের শিকার হয়।
ম্যাচের ৯ মিনিটেই ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের এক দুর্দান্ত ফ্রি-কিক আর্জেন্টিনার গোলরক্ষককে ধোঁকা দিতে পারলেও গোলবারে বাধা পেয়ে ফিরে যায়। ১১ মিনিটে ফ্রান্সকে আর আটকানো যায় নি। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আর্জেন্টাইন ডিবক্সের ভেতর যেতে থাকেন কেইলান এমবাপ্পে। সেখানে তাকে অবৈধভাবে ফেলে দেন মার্কস রোহো। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।স্পট কিক থেকে ফ্রান্সের হয়ে ম্যাচে প্রথম গোলটি করেন গ্রিজম্যান।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-১ সমতায় থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, ৪৮ মিনিটে মার্কাদোর গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৯ মিনিট পর খেলার ৫৭ মিনিটে দুর্দান্ত শটে বেঞ্জামিন পাভার্দ গোল করে ফ্রান্সকে ২-২ সমতায় ফেরান। এরপর ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের ৬৪ মিনিটের গোলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৬৮ মিনিটে আবারও তার গোলে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ফরাসিরা।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি সবসময় একইভাবে হয় না। উল্টো ভাবেও ফিরে আসে তা। এবার ইতিহাস উল্টোভাবে ফিরে আসল আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচে। বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো ফ্রান্স আর বিদায় নিল আর্জেন্টিনা।
No comments:
Post a Comment