একুশে মিডিয়া:
দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে ফ্রান্স। এমবাপে-গ্রিজমানদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছে আর্জন্টিনার ডিফেন্স। ম্যাচের ৬৮ মিনিটেই চার গোল হজম করেছে নীল-সাদা জার্সিধারীরা। বিনিময়ে প্রতিপক্ষের জাল মাত্র ২বার খুঁজে পেয়েছে লিওনেল মেসির দল।
ম্যাচের ১১তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে কিলিয়ান এমবাপেকে মারাত্মক ফাউল করেন আর্জেন্টিনার শেষ ষোলোতে ওঠার নায়ক মার্কোস রোহো। ভিএআরে দেখা হয় ওটা ফাউল ছিল। সুতরাং পেনাল্টি পেয়ে যায় ফরাসিরা। আর হলুদ কার্ড দেখেন রোহো। এক মিনিট বাদেই নিখুঁত শটে আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠিয়ে দেন আঁতোয়া গ্রিজমান।
এরপর ১৯তম মিনিটে আবারও ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন এমবাপে। তবে এ যাত্রায় ফ্রি কিকের সাজাতেই পার পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রি কিকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন পল পগবা। ম্যাচের ৪১তম মিনিটে আর্জেন্টাইনদের বুকের ধুঁকপুকানি কমিয়ে দেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। মেসির কর্নার থেকে দারুণ দক্ষতায় ফ্রান্সের জালে বল পাঠিয়ে দেন তিনি।
প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। গাব্রিয়েল মের্কাদোর পায়ে লেগে বল চলে যায় ফ্রান্সের জালে। এরপর ৫৭তম মিনিটে ডিফেন্ডার লুকা এরনদেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বেঞ্জামিন পাভার্ড স্কোরলাইন আবারও ২-২ করেন। ৬৪তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের গোলে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-২। ৪ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল করে আর্জেন্টিনার জালে একহালি গোল পূর্ণ করেন এমবাপে।
আর্জেন্টিনা একাদশ: ফ্রাঙ্কো আরমানি, মার্কোস রোহো, নিকোলাস ওতামেন্দি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, গাব্রিয়েল মের্কাদো, হাভিয়ের মাসচেরানো, এভার বানেগা, এনসো পেরেস, লিওনেল মেসি, আনহেল দি মারিয়া, ক্রিস্তিয়ান পাভোন।
ফ্রান্স একাদশ: উগো লরিস, লুকা এরনঁদেজ, রাফায়েল ভারানে, সামুয়েল উমতিতি, বাঁজামাঁ পাভার্দ, পল পগবা, এনগোলা কঁতে, ব্লেইস মাতুইদি, অলিভিয়ে জিরুদ, অঁতোয়ান গ্রিজমান, কিলিয়ান এমবাপে।
No comments:
Post a Comment