ছবি: সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, ভিন্ন-দেশের ভিন্ন রিপোর্ট:
কিছু না খেয়ে ৭০ বছর বেঁচে থাকা কি আদৌ সম্ভব। এটা সম্ভব হলেও প্রায সকল মানুষের কাছেই এটা বিশ্বাস করা একরকম অসম্ভব। এমনি এক অসম্ভব কাজকে সম্ভব করে চলেছেন ভারতের গুজরাট রাজ্যের ধর্মগুরু প্রহ্লাদ জৈন।
এই ধর্মগুরু মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকেই সব ধরনের খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন। শুধু হাওয়া খেয়েই নাকি দীর্ঘ ৭০ বছর বেঁচে আছেন ভারতের গুজরাট রাজ্যের এই ধর্মগুরু। এলাকায় মাতাজি নামেই প্রসিদ্ধ প্রহ্লাদ। তাকে একপলক দেখার জন্য মানুষ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন।
যদিও বিজ্ঞানীরা কিছুতেই সাধুবাবার এই দাবি মানতে রাজি হননি। তবে সত্যি বলছেন কিনা, তা জানার জন্য মাতাজির একাধিকবার ডাক্তারি পরীক্ষাও করিয়েছেন তারা। এমনকি দেশটির সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামও তাকে নিয়ে গবেষণা করেছেন।
২০১০ সালে প্রহ্লাদ জৈনের ওপর পর্যবেক্ষণ শুরু করেছিল ইনস্টিটিউট অব সাইকোলজি এবং অ্যালায়েড সায়েন্স। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) পক্ষ থেকেও তাকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সাধুর কার্যকলাপের ওপর ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালানো হয়েছিল ১৬ দিন ধরে। এ ছাড়াও তার এমআরআই, আলট্রাসাউন্ড, এক্সরে করা হয়। তার নিত্যদিনের কাজকর্মের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়।
তবে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও তার দাবি খারিজের মতো কোনো সূত্র বের করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। শেষে তারা সিদ্ধান্তে আসেন যে, প্রহ্লাদ জৈন চরম পর্যায়ের অনাহার এবং পানি সংযম করেই বেঁচে রয়েছেন।
ঐ ধর্মগুরু সাধুর দাবি, তিনি ধ্যান করেই কাজের শক্তি পান। কোনো রকম প্রণামী না নিয়েই ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে রাজনীতির একাধিক বাঘা নেতাও তার দর্শনের জন্য আসেন। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment