একুশে মিডিয়া, সিলেট রিপোর্ট:
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৩০টি ভোটকেন্দ্রে হট্টগোলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্র দুটি হলো- হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিষয়টি আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা মো. আলিমুজ্জামান।
নগরীর ১, ৫, ৭, ৮, ৯, ১৩, ১৭, ১৮, ২০, ২১, ২৪, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এদিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলরসহ পাঁচজন কাউন্সিলর নির্বাচন বর্জন করেছেন। তারা এ ওয়ার্ডে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী জালালউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (উচা সড়ক) কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ এখন বন্ধ রয়েছে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পুরুষ বুথে বেলা পৌনে ১১টার দিকে জোর করে একদল যুবক ঢুকে পড়েন। আর নগরের নয় নম্বর ওয়ার্ডে শাহজালাল জামিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত চারশ’র মতো ভোট পড়ে। এরপরই একদল যুবক সেখানে ঢুকে জোর করে ব্যালটে সিল মারার চেষ্টা করেন। তখনই গোলযোগ শুরু হয়। বাইরেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে সব দলের প্রার্থীদের এজেন্টরা বের হয়ে আসেন।
খবর পেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী কেন্দ্র পরিদর্শন করে বের হয়ে বলেন, নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি হচ্ছে। এরপর আরিফ সোজা চলে আসেন নির্বাচন কমিশন সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ে। সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামানের কাছে ভোট জালিয়াতি, কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেন। পরে পুরো নগরেই জালভোট ও ককটেল হামলা চলছে বলে নির্বাচন বাতিল করে নতুনভাবে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই কেন্দ্রে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছিল। কিন্তু বেলা পৌনে ১১টার দিকে একদল যুবক হঠাৎ করেই বিদ্যালয়ের তিনতলার একটি বুথে ঢুকে পড়েন। এটি পুরুষদের বুথ। কক্ষে ঢুকেই তারা জোর করে সিল মারার চেষ্টা করছিলেন। এসব যুবকের কাছে ভোটের কোনও নম্বর ছিল না। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম তাদের বাইরে থাকার নির্দেশ দেন।
তখন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বুথ থেকে তিনজনকে ধরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে আসে পুলিশ। বুথ দখলের সময় কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত নয়টি বুথে ৪৯৪ ভোট দেয়া হয়ে গেছে। এ কেন্দ্রে যেসব যুবক ঢুকে পড়েছিলেন, তাদের বুকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নৌকা প্রতীকের ব্যাজ ছিল।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল এ কেন্দ্রের পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে শাহজালাল জামিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এসময় কেন্দ্রে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment