একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ রিপোর্ট:
বিশ্বে প্রতি ৩ মিনিটে একজন কিশোরী এইডসে আক্রান্ত হয়। এদের বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে। এক প্রতিবেদনে ২৫ জুলাই বুধবার এমনটা জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ। আমস্টারডামে বিশ্ব এইডস সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। খবর ডেইলি ন্যাশন, ভয়েস অব আমেরিকা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বয়স্কদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক, জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, সঙ্গমকালে আলোচনার বিষয়ে অক্ষমতা, গোপনীয় পরামর্শ ও পরীক্ষা সেবা বিষয়ে সুযোগের অভাবসহ অল্প বয়সে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কারণে কিশোরীদের মধ্যে এইডসের সংক্রমণ বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, লিঙ্গ বৈষম্য কিশোরীদের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে। কিশোরীরা মরণব্যাধি এইডসের বীজ বহন করে চলেছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের পর থেকে সব বয়সীদের মধ্যে এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীরা। ২০১৭ সালে এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২ লাখ কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি পাঁচজনে তিনজনই কিশোরী।
অভিনেত্রী চার্লিস থেরন সম্মেলনে বলেন, এইডসের জন্য শুধু যৌন আচরণই দায়ী নয়। বিশ্বব্যাপী কিশোরী ও নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদাও এর জন্য দায়ী।
এ নিয়ে ইউনিসেফ প্রধান হেনরিয়েটা ফোয়ের বলেন, অধিকাংশ দেশেই কিশোরী ও নারীরা তথ্য ও সেবা পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এমনকি অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে তাদের না বলার ক্ষমতাও নেই। এজন্য দুর্বল ও প্রান্তিক এসব কিশোরীদের মধ্যে এইডসের সংক্রমণ বেশি।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে আমেরিকায় একদল সমকামীর দেহে অদ্ভুত একধরনের রোগ দেখা যায়। এই রোগটিই পরে এইডস নাম পায়। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরনো এইডস রোগের ভাইরাস কঙ্গোর হাসপাতালের একটি ব্লাড সেম্পলে পাওয়া গেছে। যেটি ১৯৫৯/৬০ সালের। এইডস প্রথম কেনো ছড়িয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও কিছু গবেষক ধারণা করেন বনে শিকার করতে যাওয়া কেউ হয়তো এপ্স (বনমানুষ) থেকে এই ভাইরাস বয়ে আনে এবং পরে তা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে। একুশে মিডিয়া।:
No comments:
Post a Comment