ছবি : প্রতীকী
একুশে মিডিয়া, বিনোদন রিপোর্ট:
গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে এখন ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নিত্য দিনের ঘটনা বলা যায়। ভুক্তভোগীদের কখনো কখনো এটার প্রতিবাদ করতেও দেখা যায়। তেমনি একটি ঘটনা হলো- ৬ বছর আগে নিজের কুকর্মের শাস্তি পেলেন এক প্রযোজক। নাম মুকেশ মিশ্র। এক অভিনেত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে শোনাল সেশন কোর্ট।
২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর ওই অভিনেত্রীকে ধর্ষণ করেন প্রযোজক মুকেশ মিশ্র।
এ ঘটনার এক মাস পরে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই অভিনেত্রী। নির্যাতিতার কথা মতে, ‘তিনি এই ঘটনার কথা প্রথমে প্রকাশ করেননি। কারণ এতে তার কেরিয়ার ও সম্মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। ছিল মেয়ের জীবনের ঝুঁকিও। কিন্তু, তার স্বামী সেসবের তোয়াক্কা করেননি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন। আর আজ জয় হয়েছে তাদের।’
ওই অভিনেত্রী পুলিশকে জানায়, ‘সেদিন সকাল সাড়ে ৭টায় কলটাইম দেয়া হয়েছিল। যোগেশ্বরীতে শুটিং ছিল। তাকে বলা হয়েছিল, বাস তাকে নিতে আসবে। কিন্তু, মুকেশ মিশ্র তাকে নিতে আসে। দু’জন সেটে আসার পর ওই অভিনেত্রী মেকআপ রুমে ঢুকে পড়েন। তখনই মুকেশ তার সঙ্গে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ধর্ষণের কথা জানাজানি হলে নির্যাতিতার মেয়েকে খুন করার হুমকিও দেয়া হয়।’ এমনটাই পুলিশকে জানান ওই নির্যাতিতা।
ভীরা নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
হুমকি দূরে ঠেলে দিলে ওইদিনের ধর্ষণের কথা তিনি তার স্বামীকে বলে দেন। এরপরই তার স্বামী মূল প্রযোজকের কাছে অভিযোগ জানান।
অভিনেত্রী ও তার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কার্যনির্বাহী প্রযোজক মুকেশ মিশ্রকে বরখাস্ত করেন মূল প্রযোজক।
তারপর থেকে মুকেশ মিশ্র নির্যাতিতা অভিনেত্রীকে হুমকি দিতে থাকে। এমনকি মুকেশ তার নাম ও প্রতিপত্তি নষ্ট করে দেবে বলেও হুমকি দেয়। এরপরই ওই দম্পতি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
এদিন আদালতে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন নির্যাতিতা। বিচারে ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে মুকেশের। বিচার পেয়ে খুশি হয়েছেন নির্যাতিতা ওই অভিনেত্রী। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment