ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে জনবল কাঠামো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে ১৬ হাজার ৯৭৯ জন নিয়োগ দিতে পারবে মন্ত্রণালয়টি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রইছউল আলম মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে অধিক জনবল নিয়োগের জন্য একটি নতুন জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) প্রণয়ন করা হয়েছে এবং প্রস্তাবটির অনুমোদন কার্যক্রম বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বর্তমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী কর্মচারীদের শূন্যপদ পূরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন অধিদফতর/দফতর/সংস্থায় নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, নতুন জনবল কাঠামোয় ৭ হাজার ৫৭২টি কর্মকর্তার পদ এবং ১৮ হাজার ৮৬৯টি কর্মচারীর পদসহ মোট ২৬ হাজার ৪৪১টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে মোট ১ হাজার ৬৯৫ জন কর্মকর্তা এবং ৭ হাজার ৭৬৭ জন কর্মচারীসহ মোট পদের সংখ্যা ৯ হাজার ৪৬২টি। তবে নতুন জনবল কাঠামোয় এতগুলো পদ তৈরি আশার সৃষ্টি করলেও এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদফতরে অনেক শুন্য পদ থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বাংলাদেশের মত জন জনবহুল রাষ্ট্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। কিন্তু লোকবলের অভারে এর কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া খুব ধীর গতির। এসব শুন্য পদে লোক নিয়োগ না হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের কাজে সমস্যা হচ্ছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৭০ হাজার ৪৮৯.২৭ হেক্টর জলাশয়ে ২৭৯.৮৮টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে যার উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ষা প্লাবিত ধানক্ষেত/প্লাবনভূমি।
তিনি বলেন, উন্মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারি স্থাপন ও পোনা অবমুক্তকরণ প্রকল্পের আওতায় ৬০টি জেলায় ৪৫৫টি উপজেলায় বর্ষাপ্লাবিত ধানক্ষেত/প্লাবনভূমিসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। দেশের মানুষের প্রোটিনের প্রধান উৎস এখন মাছ ও বিভিন্ন হালাল প্রাণি। কিন্তু মাঠ পার্যায়ের মানুষ এসব পালনে তেমন কোনো সহায়তা পায় না। কারণ জনবল সঙ্কট। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment