ছবি: ফাইল ফটো
একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে মোংলা বন্দরের লোকসান কাটিয়ে লাভের ধারায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহন খান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শাসনামলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে মোংলা বন্দর লোকসান করেছিল ১১.৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মোংলা বন্দর লাভ করেছে ৯৫ কোটি টাকা।’
এর আগে রবিবার (২৯ জুলাই) নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহের জন্য একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্রটিতে স্বাক্ষর করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহন খান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ।
মোংলা বন্দরের মালামাল দ্রুত ও দক্ষতার সাথে হ্যান্ডেলিং এর সুবিধার জন্য সেখানে মোবাইল হারবার ক্রেন বসাতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জার্মানির বিখ্যাত ক্রেন ম্যানুফ্যাকচারার ব্রান্ডের এই ক্রেনটি এল সি উন্মুক্তের জন্য ২৫০ দিন সময়ের মধ্যে টেষ্টিং কমিশনিং সম্পাদন সম্ভব করবে। এজন্য ব্যয় হবে ৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাংলাদেশের সাইফ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ক্রেনটি সরবরাহ করবে।
প্রসঙ্গত, মোংলা বন্দরে বর্তমানে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং উপযোগী ক্রেন নেই। মোবাইল হারবার ক্রেনটি বসানো হলে জাহাজ, বার্জ দ্রুত হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। বিদ্যমান জেটিতে বার্ষিক অতিরিক্ত ৩৬টির বেশি কন্টেইনারবাহী জাহাজ-বার্জ হ্যান্ডলিং এর ফলে ১২ কোটি টাকার অধিক মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকার পানগাঁও হতে ছোট জাহাজ-বার্জে করে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার পরিবহন সম্ভব হবে। ঘন্টায় গড়ে ২০-২৫টি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং উপযোগী এ ক্রেন বন্দরে জাহাজের টার্ন এরাউন্ড টাইম কমিয়ে আনতে সক্ষম যা আন্তর্জাতিক শিপিং লাইনগুলিকে আকৃষ্ট করবে। এছাড়া বন্দরের কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সি এন্ড এফ এজেন্ট, স্টিভেটরিং ও শ্রমিক শ্রেনীর জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছর পর এ ধরণের একটি ক্রেন সংগ্রহ করা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারি পদক্ষেপ। সেটি কেবল সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। তার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি উন্নয়নের এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ সরকারের আমলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৪৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০৯ হতে ২০১৮ পর্যন্ত নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং চারটি উন্নয়ন কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে নয়টি প্রকল্প বাস্তবায়নধীন আছে এবং ছয়টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment