একুশে মিডিয়া, ফরিদপুর ১৩ জুলাই ২০১৮ ইং রিপোর্ট:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন আলম হত্যা মামলায় সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সানোয়ার হোসেন। এ মামলার সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান ছাড়াও ৩২ জন আসামি ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২১ মার্চ সকাল ৯টার দিকে ইউসুফদিয়া গ্রামের হাই মাতুব্বরের বাড়ির সামনে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন লিটনের ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার সাহা ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩৩ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলা চলাকালে আসামিদের মধ্যে একজন মারা যান এবং দুজন পলাতক রয়েছেন।
গত বুধবার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। ওইদিন ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩০ আসামি আদালতে হাজির হলে আদালত তাঁদের জেল-হাজতে পাঠান। রায়ের পরবর্তী তারিখ আজ নির্ধারিত হয়। রায়ে আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।
তবে বাদীপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। তারা উচ্চ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে, আসামিপক্ষের স্বজন সালথা উপজেলার গট্রি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে সত্যের জয় হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
নিহত লিটন আলম ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলী মাতুব্বরের ছেলে। তিনি পল্লীচিকিৎসক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment