একুশে মিডিয়া, ক্রীড়া রিপোর্ট:
বিশ্বকাপ যখন চলছে, থাইল্যান্ডের দুর্গম গুহায় তখন কোচ ও ফুটবলারসহ ১৩ জনের আটকে পড়ার ঘটনা সারা বিশ্বে ঝড় তোলে। নিখোঁজ হওয়ার নয়দিন পর তাদের খোঁজ মেলে এবং ১৭ দিন পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৮ দেশের ৯০ জন ডুবুরি তাদের উদ্ধার করেন।
উদ্ধার কাজের সময়ই ১২ ফুটবলার এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচকে ফিফা আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিশ্বকাপের ফাইনাল সরাসরি দেখার জন্য। কিন্তু শারীরিকভাবে অক্ষম থাকার কারণে তাদের পক্ষে মস্কোয় যাওয়া সম্ভব হয়নি।
পরে ফিফা জানায় ফিফার অন্যকোন ইভেন্টে তাদের সে সুযোগ করে দেয়া হবে। এরপর ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড, স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ থেকে তাদের আমন্ত্রণ পেয়েছে। এছাড়াও তাদের আলাদাভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্প্যানিশ লিগে প্রধান।
বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে এই কিশোরদের উদ্ধারের ঘটনা ছিল ‘টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। সারা বিশ্ব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল তাদের উদ্ধারের জন্য। শেষ পর্যন্ত তারা সবাই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পুরো বিশ্ব।
এদিকে বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে যেতে না পারলেও দুই ফাইনালিস্ট দেশ ফ্রান্স এবং ক্রোয়েশিয়া ভোলেনি এই কিশোরদের। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে জয়ের পর সেই জয়কে থাই কিশোরদের উৎসর্গ করেছিলেন ফরাসি ফুটবলার পল পগবা। এবার বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া থাই কিশোরদের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করল।
ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশন থাই কিশোর দলের ১২ সদস্যের জন্য ১২টি জার্সি পাঠিয়েছে থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনের কাছে জার্সি পাঠানো হয়। ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশন টুইটারে জানিয়েছে এই সংবাদ।
এছাড়া এক বিবৃতিতে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল প্রধান জানান, ক্রোয়েশিয়া এফএ খুবই খুশি যে যুব ফুটবল দল (থাই গুহায় আটকা পড়া ফুটবলার) সুস্থ হয়ে উঠছে। তাদের জন্য ক্রোয়েশিয়া একটি করে শার্ট উপহার পাটিয়েছে।
এদিকে বারো ফুটবলার উদ্ধার হওয়ার পর গত বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানায়। আর সেই সময় রাশিয়া বিশ্বকাপ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তাদের বেশিরভাগই ক্রোয়েশিয়া সমর্থক বলে জানায়।
উল্লেখ্যে, গত ২৩ জুন ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ১২ জন কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ। ২ জুলাই তাদের খুঁজে পায় ব্রিটিশ ডুবুরিদের একটি দল। এরপর থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে থাই কর্তৃপক্ষ। টানা তিনদিন অভিযানের মধ্য দিয়ে তাদের উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment