একুশে মিডিয়া, বরিশাল রিপোর্ট:
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবুর রহমান সারোয়ার বলেছেন- ‘নির্বাচনের মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমরা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাঁতার কাটছি। তবে পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন বিএনপি নির্বাচনের মাঠ ছাড়বে না।’
আজ রোববার বিকেলে শহরের পশ্চিম কাউনিয়ার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন- ‘গতকাল শনিবার থেকে সিটি এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তার নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের অফিস পুড়িয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে।’
বিএনপির মেয়রপ্রার্থী বলেন- ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি না করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ মানা হচ্ছে না। আমাদের তিনশ নেতাকর্মীকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের যেখানে পাচ্ছে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন- ‘নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা বরিশাল ছেড়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনও বরিশাল ও আশেপাশে অবস্থান করছেন। তারা ভোটকেন্দ্রে হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাদের দেখেও না দেখার ভান করছে।’
মজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন-‘বরিশালে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে নির্বাচনের মাঠে থাকা অসম্ভব। তারপরও পরিস্থিতি যা-ই হোক আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকব। আমার নেতাকর্মীদেরও নির্বাচনের মাঠে থাকার আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন- ‘নির্বাচনে ভোট কারচুপি হলে বরিশালের জনগণ তা মেনে নেবে না। একটা ভোটও যদি কারচুপি করা হয় তাহলে ভোটের পরদিনই বরিশাল থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি ওবায়দুর রহমান মাহাবুব, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল মনোনীত প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন।
দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল মনোনীত প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন- ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী করতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আমাদের দলের এজেন্টদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমাদের শ্রমিক ভোটার যারা বস্তিতে থাকে তাদের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করার ভয় দেখানো হচ্ছে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment