ছবি : সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদির অটোগ্রাফ নিয়ে ‘মধুর’ বিপাকে পড়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরে বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের ছাত্রী রিতা। প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফ নেয়ার পর থেকে গ্রামে রিতা ও তার পরিবার এখন প্রায় সেলিব্রেটি।
স্থানীয়, খ্যাতির বিড়ম্বনা এমনই এক পর্যায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু বিয়ের প্রস্তাবও এসেছে তার জন্য।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির জনসভা চলাকালীন শামিয়ানার একটা বড় অংশ ভেঙে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের একটা বড় অংশ আহত হন। ফলে পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, নরেন্দ্র মোদি নিজের বক্তব্য স্থগিত রেখে হাসপাতালে ভর্তি আহতদের দেখতে সেখানে ছুটে যান। আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয় আহতদের মধ্যে একজন রীতা মুদি নামের এই ছাত্রীর।
রীতা শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে প্রচণ্ড খুশি হন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে দেন এক টুকরো কাগজ। নরেন্দ্র মোদি তাতে লিখে দেন, ‘ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন’।
এদিকে, বিজেপির আইটি বিভাগের প্রধান আমিত মালব্য টুইটারে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে রীতা।
আমিত মালব্য লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দেখুন। ১৯ বছরের রিতা মুডি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। রীতা কথা প্রায় বলতেই পারছিলেন না, নরেন্দ্র মোদি তাকে যত্ন করে কাগজে সই করে দেন।’
জানা গেছে, এরপর থেকে রাণিবাঁধ এলাকার এই পরিবারটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং কলেজ ছাত্রী রীতার জন্য বিয়ের প্রস্তাবও আসতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী কাগজে রীতাকে লিখে দিয়েছেন, ‘ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন’।
এ নিয়ে রীতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফ পাওয়ার পর অনেক লোক আমাদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও এসেছিল। তারা আমাদের বলে যে আমরা নাকি এখন সেলিব্রিটি হয়ে গেছি। আশেপাশের অনেক জেলা থেকে কিছু বিয়ের প্রস্তাবও এসেছিল। কিন্তু, আমি সেসবকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছি না এখন। আগে পড়াশোনা শেষ করি তারপর বিয়ে নিয়ে ভাবা যাবে।’
রিতার সঙ্গে সঙ্গে তার বোন অনিতা মুদিও বিয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেছেন ওই ঘটনার পর। অনিতা সারদামনি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি তার বোনের মতোই বলেদিয়েছেন, আগে পড়াশোনা তারপর বিয়ে। একুশে মিডিয়া।”””
No comments:
Post a Comment