ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, ভিন্ন দেশের ভিন্ন রিপোর্ট:
আরবীয় অঞ্চলের নারীদের রূপচর্চা ও ফ্যাশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন কুয়েতের মডেল সান্দোছ আল কাত্তান। ইনস্টাগ্রামে তার ২৩ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। কিন্তু বৈষম্যমূলক মন্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে গেছেন তিনি।
গত ১০ জুলাই তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে কুয়েতে অবস্থান করা ফিলিপাইনের গৃহকর্মীদের সাপ্তাহিক ছুটি মঞ্জুর করা নিয়ে বিধিমালার কঠোর সমালোচনা করেন এ রূপচর্চাবিষয়ক লেখিকা।
নতুন বিধিমালা অনুসারে গৃহকর্মীর পাসপোর্টও গৃহকর্তা আটকে রাখতে পারবেন না। যদিও কুয়েতের আইনে অন্য গৃহকর্মীদের ব্যাপারে তাদের পাসপোর্ট গৃহকর্তার কাছে রাখার কথা বলা হয়েছে।
ফিলিপাইনের গৃহকর্মীদের এ সুযোগ-সুবিধা মেনে নিতে পারেননি সান্দোছ। এ বিধিমালাকে মশকরা হিসেবে আখ্যায়িত করে তার সমালোচনা করেন।
সুনদুস ওই ভিডিওবার্তায় বলেন, এটি কীভাবে সম্ভব যে আপনার বাড়িতে একজন গৃহকর্মী থাকবেন আর তার পাসপোর্ট তিনি নিজের কাছে রাখবেন! এর চেয়েও অদ্ভুত বিষয়, প্রতি সপ্তাহে তাদের একদিন ছুটি দিতে হবে! মাসের চার দিন তিনি নিজের মতো করে ঘুরে বেড়াবেন পাসপোর্ট নিয়ে। তিনি পালিয়ে গেলে আমার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? আর কী বাকি থাকল তবে? নতুন এই আইনের পর আমার ফিলিপাইনের আর কোনো গৃহকর্মীই লাগবে না।
সান্দোছের এমন মন্তব্যকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে আরবের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
পরে এ বিষয়ে সুনদুস বলেন, এখনও তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্র্যান্ড থেকে কিছু জানানো হয়নি। আর এমনটি হয়ে থাকলে তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে কুয়েত, ইসলাম ও হিজাবকে টার্গেট করা হচ্ছে।
নিজের মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে এ মডেল বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট নিজেদের কাছে থাকে না, একজনের কাছে জমা থাকে।
তার প্রশ্ন হচ্ছে- আর গৃহকর্মীরা আমাদের সঙ্গে বাইরে যাওয়া-আসা করছে। ফলে সপ্তাহে আলাদা করে একদিন ছুটি লাগবে কেন! একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment