ছবি: প্রতীকী
একুশে মিডিয়া, নেত্রকোনা রিপোর্ট:
নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি মিলন মিয়া পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে। রবিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০ দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কোর্ট ইন্সপেক্ট মো. জিয়াউল হক জানান, সকাল সাড়ে ৯ টায় নেত্রকোনা কোর্ট পুলিশ নেত্রকোনা কারাগার থেকে বিভিন্ন মামলার ৪৮ আসামিকে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে আসে কোর্টে। স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি মিলন মিয়া কৌশলে হাত কড়া খুলে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০ আগষ্ট ২০১৭ রোববার সকালে নেত্রকোনা শহরের হুসেনপুর এলাকায় ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এই নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত করে নিহতের সরিন আক্তারের স্বামী মিলনকে আটক করা হয়। মিলন মিয়া (৩৪) নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার ব্রিকালিকা গ্রামের বাসিন্দা মো. লুৎফর মিয়ার ছেলে। নিহত স্ত্রী নাসরিন আক্তারকে(৩০)নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিনের মেয়ে।
মিলনের দেওয়া স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি জানান, দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। সাত বছর আগে মিলন মিয়া ও নাসরিন আক্তার একে অপরের পছন্দে বিয়ে করেন। তারা এক সঙ্গে গাজীপুরের টঙ্গিতে বসবাস করে আসছিলেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিলন ও নাসরিনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল।
সম্প্রতি মিলন নেত্রকোণায় সাতপাই এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে থাকেন। আর নাসরিন গাজীপুরে থেকে যান। মিলন তৃতীয় বিয়ে করতে চান। নাসরিন এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান। এতে মিলন ক্ষিপ্ত হলেও ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌঁশলে নিজবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মিলন গাজীপুর থেকে নাসরিনকে নেত্রকোনা শহরের নিয়ে রওয়ানা হন। নেত্রকোণা শহরের হোসেনপুর এলাকায় ২০ আগষ্ট ২০১৭ রোববার রাতে দুই জনে একটি ধান খেতের পাশ দিয়ে হেটে আসার সময় মিলন মিয়া স্ত্রী নাসরিনকে গলা কেটে বুকে উপর্যুপরি ছুড়িকাঘাতে খুন করেন।
জানা যায়, পলাতক মিলন মিয়া পূর্বধলা থানার নারী ও শিশু নিযার্তন একটি মামলার ১৪ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি ছিল। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment