একুশে মিডিয়া, রংপুর রিপোর্ট:
বোরকা পরে ছাত্রীনিবাসে ঢুকে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও সহযোগিতার অভিযোগে রংপুরে তাজকীর হোসেন (৩২) ও দুলালী আকতার (২৮) নামে দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে আসামিদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অভিযুক্ত তাজকীর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মাদারপুর খিয়ারছড়া এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে এবং দুলালী একই এলাকার খিয়াচড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. যাবিদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকেআসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক হাছনাইন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. আব্দুল হক প্রামাণিক।
মামলা থেকে জানা যায়, কারমাইকেল কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র তাজকীর হোসেনকে পছন্দ করতেন দুলালী। রংপুর নগরের লালবাগ খামারপাড়া এলাকায় শাকিব টাওয়ার নামে একটি বেসরকারি ছাত্রীনিবাসে থেকে রংপুর সরকারী কলেজে বাংলা তৃতীয়বর্ষে পড়ালেখা করতেন দুলালী আকতার। তাজকীর হোসেন দুলালীর বান্ধবী নির্যাতিত ওই ছাত্রীর কাছে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। পরবর্তীতে তাজকীর দুলালীর ওই বান্ধবীকে ধর্ষণে সহায়তার শর্তে দুলালীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রাজী হয়।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের ভুয়া জন্মদিন পালনের কথা বলে ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর দুপুরে দুলালী তার বান্ধবী ওই ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে আনেন। শীতকালীন ছুটির কারণে ছাত্রীনিবাসে দুলালী ছাড়া আর কেউ ছিল না। কিছুক্ষণ পর সেখানে বোরকা পরে ছাত্রীর ছদ্মবেশে আসেন কারমাইকেল কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণির ছাত্র তাজকীর হোসেন।
দুজনকে কক্ষে রেখে দুলালী বাইরে বেরিয়ে এসে দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে পাহারা দেন। এ সুযোগে তাজকীর ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং গোপনে ওই দৃশ্য ফোনে ভিডিও করে। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতা বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
পরদিন তাজকীর ফের ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে নির্যাতিতা ওই ছাত্রী রংপুর কোতোয়ালী থানায় তাজকীর ও দুলালীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment