চুয়েট শিবির সভাপতিকে মারধর করে পুলিশে দেয়ায় চট্টগ্রাম নগর শিবিরের তীব্র নিন্দা-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday, 20 July 2018

চুয়েট শিবির সভাপতিকে মারধর করে পুলিশে দেয়ায় চট্টগ্রাম নগর শিবিরের তীব্র নিন্দা-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শাখার শিবির সভাপতি জামিল আহম্মদকে পরীক্ষার হল থেকে আটকের পর বেধম মারধর করে হাতে অস্ত্র দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী (উত্তর)।
এদিকে এ ঘটনায় রাউজান থানায় শুক্রবার দুপুরের দিকে জামিল আহম্মদকে একমাত্র আসামী করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে চুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ বাকের। ছাত্রলীগের দাবি এই ছুরিটি নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলো জামিল আহম্মদ। জামিল আহম্মদ ঠাকুরগাঁও জেলার পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে এবং চুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধায় ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সভাপতি মোহাম্মদ বাকের ফোন করে জানায় চুয়েট শিবির সভাপতিকে আটক করা হয়েছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে তাকে নিয়ে আসি।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের পর বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী (উত্তর) সভাপতি আহমেদ সাদমান সালেহ ও সেক্রেটারী আ স ম রায়হান এক বিবৃতিতে বলেছেন, চুয়েট শাখা ছাত্রলীগ নামধারী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সৈয়দ ইমাম বাকের সহ কতিপয় সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রশিবির সভাপতি জামিল আহম্মেদ কে প্রকাশ্যে পরীক্ষার কক্ষ থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর জোর পূর্বক দেশীয় অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সরকার দলীয় সোনার ছেলেরা চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার স্বাভাবিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে।
তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিং, ছাত্রী-শিক্ষক লাঞ্চনা, মাদকের ভয়াবহ আস্তানা তৈরি সহ নানা অপরাধ কর্ম করলেও সরকারের অভিযান কিংবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না।

প্রচলিত আইনের ধারায় এসব চিহ্নিত অপরাধীরা আইন ও আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উল্টো রাতের আধাঁরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপরাধ ছাত্রদের ঘুম থেকে উঠিয়ে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে।
এহেন বর্বর নির্যাতনের পর তাদের অপকর্ম থেমে থাকেনি বরং পরীক্ষার কক্ষ থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তার সামনে থেকে প্রকাশ্যে চুয়েট শাখা শিবির সভাপতি জামিল আহম্মেদকে উঠিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করার পর জোর পূর্বক দেশীয় অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তারা সোনার ছেলেদের এসব জঘণ্য অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দুরের কথা বরং কেউ মুখ পর্যন্ত খোলার সাহস পাচ্ছে না। তারা কথায় কথায় অস্ত্র ও মামলার ভয় দেখিয়ে পুরো প্রশাসনকে জিম্মী করে রেখেছে।
একই সাথে তারা প্রতিনিয়ত ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে তাদের নির্দেশনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও মানতে বাধ্য করছে। সাধারণ ছাত্রদের তারা শিবির আখ্যা দিয়ে নিয়মিত মারধর করে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। তাদের চাহিদা মতো চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে সেসব ছাত্রদের ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাশ কাটিয়ে সোনার ছেলেরা রাতের অন্ধকারে তল্লাশীর নামে সাধারণ ছাত্রদেরকে হয়রানী ও মাদকের আস্তানার সংবাদ প্রথম আলো, আমাদের সময় সহ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও উপরি মহল তাদের নিয়ে কোন উচ্চ বাচ্য করছে না।
তাছাড়া সরকারের নির্দেশে সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও ছাত্রলীগ নামধারী চিহ্নিত এসব মাদক সম্রাট ব্যাপারে প্রশাসন একেবারেই নির্বিকার। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা তাদের দ্বারাই সম্ভব যারা নিয়মিত অস্ত্র উঁচিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানারূপ ভয়ভীতি দেখায়। কেননা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করে কলম, পেন্সিল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সাথে নিয়ে। সারা দেশ যেখানে সরকার দলীয় দুঃশাসনের কঠিন যাতাকলে নিপতিত এ অবস্থায় শিবির নেতার সাথে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানো অন্ধকে হাতির অঙ্গ দর্শনের গল্প শেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages