একুশে মিডিয়া, ক্রীড়া রিপোর্ট:
প্রতিনিয়তই চোটের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এই ভালো হয়ে ফিরছেন আবার আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছেন মাঠের বাইরে। তবে ২২ গজে এ কাজটি তিনি ভালোভাবেই করতে পারঙ্গম ছিলেন। তার বোলিংয়ে তটস্থ ছিল প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা।
মাসখানেক আগে বয়স ৩৫ ছাড়িয়েছে। তাই ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর রঙিন জার্সিকে বিদায় জানিয়ে দিলেন। লাল বলে খেললেও বিশ্বকাপের পর আর সাদা বলে মাঠে নামবেন না এ প্রোটিয়া স্পিডস্টার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে স্টেইন বলেন, আমি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তবে বিশ্বকাপের পর আমি নিজেকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে দেখছি না। পরের বিশ্বকাপ আসতে আসতে আমার বয়স হবে ৪০। তাই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পরই সাদা বলের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবো।
২০১৯ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দিলেও টেস্ট ক্রিকেটে যতদিন সম্ভব খেলে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে স্টেইনের। তিনি বলেন, তবে এটি যখন টেস্ট ক্রিকেটের কথায় আসে তখন আমি যত বেশি সম্ভব খেলে যেতে চাই। একগাদা ইনজুরি কাটিয়ে অবশেষে মাঠে ফিরতে পেরেছি। এতো এতো ইনজুরির পর স্বাভাবিক খেলাটা খেলা সহজ হয় না। আমার এখন মনে হয় যে আমি ফিট এবং কোন ইনজুরি নেই। শ্রীলংকার বিপক্ষে ভালো গতিতে বোলিং করতে পেরেছি। এটা ভালো দিক ছিল।
গত তিন বছর ক্রমাগত চোটের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন স্টেইন। তাই দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন এ প্রোটিয়া পেসার। বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের বিশাল অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন স্টেইন, আমাদের ব্যাটিং লাইনআপের দিকে তাকালে দেখবেন শীর্ষ ছয়জন প্রায় হাজার খানেক ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু শেষ দিকে আট থেকে এগারো, যারা এখনো খেলছে দেড়’শ ম্যাচের অভিজ্ঞতাও নেই। এখানে অভিজ্ঞতার দরকার। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে এটাই আমার তুরুপের তাস হবে বলে আশা করছি।
টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি গায়ে ওঠে স্টেইনের। এ পর্যন্ত ৮৮ টেস্টে নিয়েছেন ৪২১ উইকেট, ১১৬ ওয়ানডেতে ১৮০ উইকেট ও ৪২ টি-টোয়েন্টিতে ৫৮ উইকেট রয়েছে ৩৫ বছর বয়সী প্রোটিয়া এ গতি তারকার। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment