ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট:
গত বুধবার (২৫ জুলাই) পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির প্রায় ১০ কোটি ৬০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের রায়ে সেখানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত হয়। ব্যাপক বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার সেনাসদস্যের বিতর্কিত উপস্থিতির মধ্যেই স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে ভোট।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে গণনার প্রাথমিক পর্যায়েই বিজয় উল্লাস করতে দেখা যায় ক্রিকেটার ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকদের। এরই মধ্যে অনেকে ইমরানকে ‘উজিরে আজম’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্বোধন করে স্লোগানও দিয়েছেন।
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ৪২ ঘণ্টা পর শুক্রবার (২৭ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, মুসলিম লিগ ও পিপলস পার্টি এই নির্বাচনকে ‘পাতানো নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে ফল প্রত্যাখ্যান করলেও এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে কমিশন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) আনুষ্ঠানিক ফলাফল আসার আগেই এক টিভি ভাষণে নিজেকে বিজয়ী দাবি করেন সাবেক বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।
ভাষণে মোহাম্মদ আলী জিন্নার আদর্শে নতুন পাকিস্তান গড়ার ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুর সমাধানের ঘোষণাও দেন।
ইমরান খান বলেন, ‘আমরা দুর্নীতিমুক্ত নতুন পাকিস্তান গড়তে চাই। আমার শাসনামলে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী পক্ষের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। নির্বাচনে যে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, প্রয়োজনে সেটারও সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। শক্তিশালী অর্থনীতি নিশ্চিত করতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবো আমরা।’
‘এছাড়া ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা এক কদম আগে বাড়লে আমরা দুই কদম বাড়াবো। কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার পরিকল্পনা আছে।’
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআইকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তবে, নির্বাচনে পিটিআই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দলটিকে জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে। তবে, ইমরান খান কাকে সরকারের অংশীদার করবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment