একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
পঞ্চগড়ে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শাবনুর আক্তার (১৯) নামে এক তরুণী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের পূর্ব জালাসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণী ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দুই বার পরীক্ষা দিয়েও ইংরেজি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় শাবনুর। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজের ফলাফল জানার পর নিজ ঘরের আড়ার (শরের) সাথে ওড়নার পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে শাবনুর। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।
শাবনুরের পরিবার সুত্রে জানা যায়, শাবনুর দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তবে ওই পরীক্ষার ফলাফলে সব বিষয়ে পাস করলেও ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয় শাবনুর। পরে সে ২০১৮ সালে শুধুমাত্র ইংরেজি বিষয়ে আবারও অংশগ্রহণ করে।
বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে আবারও অকৃতকার্য হয় শাবনুর। পরিবারের সদস্যদের ধারণা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া কারণেই শাবনুর আত্মহত্যা করেছে।
শাবনুরের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, আজকে শাবনুর পঞ্চগড় হোমিও প্যাথিক কলেজে ডিএইচএমএস প্রথম বর্ষের জীববিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা দিয়ে সে বাড়ি ফিরে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল শুনে ভেঙে পড়ে। পরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। কেউ তাকে কোনও বকাঝকা করেনি। সে আত্মহত্যা করতে পারে এটা আমরা কেউ বুঝতে পারিনি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হাসান সরকার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ওই তরুণীর আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment