একুশে মিডিয়া:
সাদা পোশাকে দীর্ঘ চার বছর পর উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজের আগে নতুন কোচ পেয়েছে দল। এসেছে নতুন অধিনায়কও। দল কিংবা সমর্থক- সবার প্রত্যাশার পারদটা হয়তো ঊর্ধ্বমুখীই ছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশা আর পূরণ হলো কই। আইপে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংস জুড়ে দেখা গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ও ক্যারিবীয় পেসারদের তোপে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেছে মাত্র ৪৩ রানে। আর এই ব্যাটিং ব্যর্থতায় রেকর্ডও গড়ে ফেলেছে সাকিব আল হাসানের দল। কিন্তু সেটা লজ্জার। টেস্টে এটাই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। ক্রিকেটের ইতিহাসে এটা ১১তম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংস ছিল ৬২ রানের। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে ২৫ দশমিক ২ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। ৪ জুলাই, বুধবার অ্যান্টিগায় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ ও মিগুয়েল ক্যামিন্সের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। শুরুর ধাক্কাটা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। মধ্যে লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। তাদের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন কেমার রোচ। পঞ্চম ওভারে তার করা শেষ বলে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটরক্ষক শেন ডোরিচের হাতে ক্যাচ দেন তামিম ইকবাল। আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ৪ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এক ওভার পর ফিরেই মুমিনুল হককে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন ডানহাতি এই পেসার। শেষ বলে গালিতে শাই হোপের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। আবারও এক ওভার পর ফিরে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পান রোচ। তার দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মুশফিকুর রহিম। আউট হওয়ার আগে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। রোচের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওই ওভারের চতুর্থ বলে জেসন হোল্ডারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। মুশফিকের মতো তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি। পরের বলেই উইকেটরক্ষক শেন ডোরিচের গ্লাভসে ধরা পড়ে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ১৮ রান। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে কিছুটা থিতু হয়েছিলেন ওপেনার লিটন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সোহানকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ১৬ রান। কিন্তু তাদের এই জুটিকে সফল হতে দেননি মিগুয়েল কামিন্স। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের ১৪তম ওভারে দুজনকেই সাজঘরে পাঠান ডানহাতি এই পেসার। ১৪তম ওভারে কামিন্সের দ্বিতীয় বলে রোস্টন চেজের ক্যাচে পরিণত হন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ২ চারে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রান। চারটি বলের ব্যবধানে হোল্ডারের ক্যাচে পরিণত হন সোহান। ১০ বলে তার ব্যাট থেকে ৪ রান। লিটন-সোহান ফিরে গেলে উইকেটে থিতু হতে পারেননি বাকিদের কেউই। নিজের পরের ওভারেই মিরাজকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করে সাজঘরে পাঠান কামিন্স। এর পরের ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে সাজঘরে পাঠান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। শেষের দিকে রুবেল হোসেনের অপরাজিত ৬ এবং টেস্টে অভিষেক হওয়া আবু জায়েদ রাহীর ২ রানে ৪৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন কেমার রোচ। ৫ ওভারে এক মেডেনসহ ৮ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার। এ ছাড়া কামিন্স তিনটি ও হোল্ডার নিয়েছেন দুটি উইকেট।সূত্র: প্রিয় কম।
No comments:
Post a Comment