ছবি: প্রতীকী
একুশে মিডিয়া, লাইফ রিপোর্ট:
প্রতিটি মানুষের চাওয়া থাকে সুখী দাম্পত্য জীবন। আর সেই চাওয়া পূর্ণ করতে আপনাকেই কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। ঘরের সুখই প্রকৃত সুখ। দাম্পত্য জীবনে যদি সুখ না থাকে তবে কর্মক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে।
দাম্পত্যকে মধুর রাখতে গেলে পরস্পরের খেয়াল রাখতে হবে, অনুভূতির কদর করতে হবে, ক্ষমা করতে জানতে হবে ইত্যাদি পরামর্শ আমরা সব সময়েই শুনি। আপনিও নিশ্চয়ই শুনেছেন? সত্যি বলতে কি, দাম্পত্য এমন একটা সম্পর্ক যা কিছুদিন পর আমাদের একঘেয়ে লাগতে শুরু করে খুব স্বাভাবিক কারণেই আর তখনই শুরু হয় খিটখিট।
আর তাই, দাম্পত্যকে সতেজ রাখতে চাই কিছু ‘অন্যরকম’ চর্চা। এই বিষয়গুলো স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্যই দাম্পত্য ব্যাপারটাকে রাখে মধুর ও সতেজ।
আসুন জেনে নেই দাম্পত্য জীবন মধুর করতে কী করবেন?
বিশেষ দিবস মনে রাখা:
আপনার প্রিয় মানুষটি আপনাকে কতখানি ভালোবাসে তা সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারবেন আপনার জন্মদিনটি সে কখনোই ভুলবে না। আপনার জন্মদিন ছাড়াও বিশেষ দিবস, যেমন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখসহ নানা উপলক্ষে আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায় এবং এ দিবসে তার সাধ্যানুযায়ী আপনাকে উপহারসামগ্রী পাঠায়।
সম্পর্ক হোক বন্ধুত্বের:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের মধ্যে বন্ধুত্বভাব বজায় রাখলে অনেক সমস্যাই দূরে থাকবে। তবে অবশ্যই একে অপরকে সম্মান করতে হবে ও ভালোবাসতে হবে।
সমান সমান হওয়া:
দাম্পত্যকে কেউ বড় বা কেউ ছোট না, বরং দুজনেই সমান সমান। এই সাম্য অর্জন করতে না পারলে আসলে প্রকৃত ভালোবাসা ও সুখ আসে না দাম্পত্যে। আমাদের সমাজে দেখা যায় স্বামীরা দাম্পত্যের ক্ষেত্রে বেশী গুরুত্ব পেয়ে থাকেন, যা একেবারেই অনুচিত। স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরকে সমান চোখে দেখবেন, সংসারের সকল বিষয়ে দুজনের ইচ্ছা ও মতামত সমান গুরুত্ব পাবে, তাহলে হয়ে উঠবে দাম্পত্য মধুর।
নিজের একটা আলাদা ভুবন:
দাম্পত্য মানে সবকিছু কেবল জীবন সঙ্গীকে ঘিরে হওয়া আর নিজের কথা ভুলে যাওয়া নয়। এতে জীবনসঙ্গী যেমন অতিরিক্ত চাপ ও দমবন্ধ ভাবের শিকার হন, তেমনই আপনার জীবনটাও হয়ে পড়ে এক পেশে ও পর নির্ভরশীল। দাম্পত্যকে আনন্দময় রাখতেই বরং বাইরের পৃথিবীর সাথে নিজের যোগাযোগ বজায় রাখুন। নিজের বন্ধু মহলকে ত্যাগ করবেন না, পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় দিন, সময় দিন নিজের শখ ও ইচ্ছাকে।
আলিঙ্গন:
সব সময় ফুল উপহার দিয়ে সঙ্গীর মন জোগাতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। অনেক সময় খুব সাধারণ এক স্পর্শ কিংবা আলিঙ্গন হতে পারে বড় উপহার। আপনার অনুভূতির অনেক না বলা কথা সামান্য এক আলিঙ্গনে বলা হয়ে যেতে পারে। সম্পর্কের মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকলে নিমেষেই তা শেষ হয়ে যেতে পারে। দুজন-দুজনের যখন এত কাছাকাছি, তখন ভালোবাসা বাড়বে না কেন !
ক্ষমা:
ভুল মানুষ মাত্রই করে। এমন কিছু ঘটলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে স্বামী অথবা স্ত্রীকে ভুলটা ধরিয়ে দিন। ক্ষমা করার পর আগের ভুল নিয়ে কখনো কথা বলবেন না।
চিনুন-জানুন:
দুই পরিবারের দুজন মানুষের মধ্যে কিছু মিল-অমিল থাকতেই পারে। বিয়ের পর দুজন-দুজনকে সময় দিন। একে অপরকে চিনুন এবং জানুন। তাহলে অন্যের কানকথা সম্পর্কের মাঝে বিভেদ তৈরি করতে পারবে না।
বন্ধুকে নিয়ে কম মাতামাতি:
বন্ধুকে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের মাঝখানে স্থান দেবেন না। আপনার প্রিয় মানুষটির সঙ্গ কাটুক শুধু ভালোবাসায়।
সারপ্রাইজ:
বিয়ের বহু বছর পরেও সামান্য সারপ্রাইজ আপনাদের দুজনের প্রেমকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলতে পারে। আর সেই সারপ্রাইজটি হতে পারে প্রিয় মানুষের পছন্দের ফুল কিংবা খাবার অথবা ভিন্ন কিছু।
মতামতের গুরুত্ব দেয়া:
একটা কথা হলো যে আপনাকে ভালোবাসবে সে অবশ্যই আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেবে। আপনি যখন তার সঙ্গে কথা বলবেন ভালো করে পরখ করে নেবেন সে আপনার মতামতের ওপর কতটা শ্রদ্ধাশীল। দেখতে হবে সে আপনার কথা খেয়াল করে শুনে কিনা? একগুঁয়েমি কোনো সিদ্ধান্ত আপনার ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে কিনা? সর্বোপরি আপনার মতামতের মূল্য দেয় কিনা? আপনাকে যে ভালোবাসে সে আপনার কথা মন দিয়ে শুনবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সহায়তা:
আপনাকে যে ভালোবাসে সে আপনাকে নিয়ে সুন্দর আগামীর ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখে কিনা? কিংবা আপনি যে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দেখছেন তাতে তার শেয়ার কতখানি। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment