একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
রাজধানীতে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। তবে বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমলেও পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি দশ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচামালের সরবরাহ থাকায় যেমন দাম কমতে শুরু করেছে তেমনি পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।
তবে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, আগামী মাসেই কোরবানির ঈদ। ঈদের বেশিদিন বাকি নেই। মাংসের অনুষঙ্গ পেঁয়াজ। সে ক্ষেত্রে কোরবানি ঈদের আগে আরও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে মজুদ বাড়াতেই বাজারে সরবরাহ কম দেখাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
তবে ক্রেতাদের এ অভিযোগ কারওয়ান বাজারের অনেক পেঁয়াজের পাইকার স্বীকার করে বলেছেন। আমরা আড়তদার থেকে পণ্য কিনি। তাদের থেকে আমরা কম দামে কিনতে পারলে কমে বিক্রি করতে পারি। কিন্তু মালের সরবরাহ কম বলে বস্তা প্রতি দাম বাড়িয়ে তুলেছে আড়তদাররা।
আজ সকাল থেকে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে।
গেল শুক্রবার দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি ছিল তবে সপ্তাহে ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
কাঁচাবাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা, কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ২০ থেকে ২৫ টাকা, আলু ২০-২২ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কাঁচাকলা হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কচুমুখী ৪০ টাকা, বেগুন মান অনুসারে ২০ থেকে ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শসা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনিয়াপাতা আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, লেবু হালি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রতি কেজি বয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, কক মুরগি ২১০ থেকে ২১৫ টাকা। গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫শ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment