ওসমানী মেডিকেলে রোগীর স্বজনকে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক আটক!-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday, 16 July 2018

ওসমানী মেডিকেলে রোগীর স্বজনকে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক আটক!-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, সিলেট ১৬ জুলাই ২০১৮ ইং রিপোর্ট:
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর এক ধর্ষণের অভিযোগে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
ধর্ষিতা কিশোরী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি তার অসুস্থ নানির সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিলেন।
ধর্ষণের এ ঘটনাটি রোববার মধ্যরাতে ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পুলিশ আটক করে। স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মাক্কাম আহমদ মাহী। তিনি  ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার মোখলেসুর রহমানের ছেলে। 
তিনি ওসমানী মেডিকেলের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
ভিকটিম ওই স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল ওই শিক্ষার্থী। নানী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন।
রোববার রাতে ওই শিক্ষার্থী ছাড়া আর কেউ রোগীর সঙ্গে ছিল না। রাতে ফাইল দেখার কথা বলে ডাক্তার মাহী ওই মেয়েটিকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। সকালে বাবা-মা হাসপাতালে আসার পর স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানায়।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের এবং ওই চিকিৎসককে নিয়ে বসি। মেয়ের পক্ষ এবং ওই ইন্টার্নের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মেয়ের পরিবারের আনা অভিযোগ মাহী অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। 
তিনি আরও বলেন, মেয়েটিকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর বিষয়টি নিশ্চিত করে আরটিভি অনলাইনকে জানান, মাক্কাম মাহীকে আটক করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ওই স্কুলছাত্রীকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages