একুশে মিডিয়া, বগুড়া, ১৭ জুলাই ২০১৮ ইং, এ.এম রিপোর্ট:
বগুড়ায় ধর্ষণ মামলা আপসে মিমাংসা করার দায়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৫ জুলাই) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ এর আদালতে আসামি পক্ষে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ি গ্রামে একটি ধর্ষণ মামলা আপস মিমাংসা করে দিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু ও ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল তোতা।
মামলা আপস মিমাংসা করে দেয়ায় তাদের উভয়কে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এই মামলায় শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কর্তৃক বিজ্ঞ আদালতে প্রদত্ত চুড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করলে আদালত বাদীর নারাজি আবেদনটিও গ্রহন করেন এবং মামলার একমাত্র আসামি আইএফআইসি ব্যাংকে কর্মরত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার গোচন সরদারপাড়ার ফয়েজ উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে মো: সামছুর রহমান (৩৩) এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসামি সামছুর রহমান টেপাগাড়ি গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে ধর্ষণ করে। ফলে ওই নারী অন্তসত্বা হয়। ওই নারী বিয়ের চাপ দিলে আসামি সামছুর বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে ধর্ষিতা নারী জেলা বগুড়ার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ এর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে ওই নারী একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়।
বর্তমানে শিশুটির বয়স এক বছর। ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলে তিনি আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। রিপোর্টে উল্লেখ করেন, রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু ও ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল এর উপস্থিতিতে বাদী ও আসামিদের মধ্যে আপস মিমাংসা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুলাই) পিপি এ্যাড. আশেকুর রহমান সুজন জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিলকৃত তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে বাদী বিজ্ঞ আদালতে নারাজির আবেদন করলে রবিবার শুনানি শেষে আদালত বাদীনির নারাজির আবেদন গ্রহণ করে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু ও সদস্য মোস্তফা কামাল তোতাকে দোষী সাব্যস্ত করে বাদীনির মামলায় তাদের আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। পরে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment