নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার লুকিয়ে রাখা হতে পারে!, নয়াপল্টনে: রিজভী - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 28 July 2018

নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার লুকিয়ে রাখা হতে পারে!, নয়াপল্টনে: রিজভী

ছবি: ফাইল ফটো
একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
আসলে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী সাধারণ ভোটারদের অধিকার ফিরে পাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, সেজন্য সরকার ভোট সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির নতুন নতুন মডেল আবিষ্কার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন ।
রিজভী বলেন, তিন সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগ আসতে থাকে। আবার পাশাপাশি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট প্রার্থী এবং সমর্থক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান এক চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। খুলনা-গাজীপুর নির্বাচনের মতোই আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের ভোটার ও পোলিং এজেন্ট শূন্য করার এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। সরকারের নির্দেশে তিন সিটি করপোরেশনে একপেশে নির্বাচন করার ডিজাইনারের কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন যে সরকারের হাতের মুঠোয় সেই প্রমাণ নিজেরাই রেখে যাচ্ছে, যেমন তিন সিটিতে তফশিল ঘোষণার পর বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেফতার না করার প্রজ্ঞাপন জারির উদ্যোগ নিয়েছিল ইসি। কিন্তু পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে সেই উদ্যোগ থেকে সরে আসে কমিশন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণা শুরুর পর থেকেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে আগ্রাসী আক্রমণ চালাচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের তালিকা ধরে গ্রেফতার অব্যাহত আছে। অবিরাম পুলিশী হয়রানীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের অসহায় পরিবার। তাদের নামে মামলা না থাকলেও পেন্ডিং মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গ্রেফতারের পর পুলিশ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের অবস্থানও জানায় না। আর নির্বাচন নিয়ে এতো অনাচারের পরেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে নির্বাচন কমিশন।
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘খালেদার মুক্তির জন্য কিছুই করতে পারবো না।’ আপনি তো পারবেন না এজন্যই পথের কাঁটা সরাতেই তাকে কারাবন্দি করেছেন। আপনি নির্বাক, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীন বাংলাদেশ চাচ্ছেন, আপনি চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। সেজন্য আপনার প্রয়োজন একতরফা নির্বাচন, আর এই নির্বাচনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা খালেদা জিয়া।
তিন সিটিতে নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা কর্মীদের গণ-গ্রেফতারের ও হয়রানির থামছে না উল্লেখ রিজভী বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গতকাল সারারাত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়েছে। বাসায় গিয়ে তারা পরিবারের সদস্যদের বলেছে ২ আগষ্টের আগে কাউকে যেন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দেখা না যায়। বরিশাল সিটিতে গ্রেফতার না করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও সেটিকে অমান্য করে পুলিশ লাগাতার গ্রেফতার করছে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের। ধানের শীষের প্রার্থীর উঠোন বৈঠক ও সভাও ভেঙ্গে দিচ্ছে পুলিশ। এদিকে
রাজশাহী সিটিতে গণ-গ্রেফতারের গতি থামছেই না। সেখানে নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট কারচুপির মহা আয়োজনের আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রায় ৯০ শতাংশ আওয়ামী সমর্থিত লোকদের পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভোটের আগের রাতে নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে লুকিয়ে রাখা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ধানের শীষের প্রার্থী।
এছাড়া, সিলেট সিটি নির্বাচনেও রাজশাহী ও বরিশালের মতোই চিত্র। নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মধ্যে কোন আনন্দ উচ্ছাস নেই, ভোটারদের মনে একটা থমথমে ভাব বিরাজ করছে। সিলেটেও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বা হয়রানী না করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও পুলিশ সেটি অমান্য করে ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। জনগণ প্রশাসন ও ইসির ওপর ভরসা রাখতে পারছে না।
আমি দলের পক্ষ থেকে তিন সিটিতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও তাদেরকে হেনস্তা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে যেসব নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি। একুশে মিডিয়া।’

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages