একুশে মিডিয়া, কুমিল্লা রিপোর্ট:
প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া সনদপত্রের মাধ্যমে চাকরি নিয়ে কুমিল্লা বিভাগে ৮ ব্যক্তি সরকারি অর্থ আত্মসাত করেছেন- এমন অভিযোগে ৭টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন কুমিল্লায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. নূরুল হুদা। অভিযুক্তরা হলেন– কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বড় ধুশিয়া আদর্শ কলেজের সাচিবিক বিদ্যার প্রদর্শক গোলাম মোস্তফা সরকার, কম্পিউটার বিষয়ের প্রদর্শক মো. জামাল উদ্দিন, সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. আবুল কালাম; মনোহরগঞ্জ খিলা আজিজ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ মোরশেদুল আলম, দিদার মডেল হাইস্কুলের মোহাম্মদ কামাল হোসেন; সফটটেক কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক মো. জহিরুল কাইয়ুম, পরিচালক, বাইড়া মোঃ আরিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম, ডঃ রওশন আলম কলেজের সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মোঃ আযম খান।
অভিযোগ সূত্রের বরাত দিয়ে দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য একুশে মিডিয়াকে বলেন, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভূয়া সনদপত্রের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগ লাভ করে গোলাম মোস্তফা মোট ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মো. জামাল উদ্দিন সনদ গোপন করে সরকারি বেসরকারি মোট ১৪ লাখ ২৭ হাজার ২৯৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। মো. আবুল কালামের নামে ইস্যু করা সনদটি ভুয়া ও জাল।
১৯ বছর চাকরি করে তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। খিলা আজিজ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে মো. মোরশেদুল আলম দুই বছর চাকরি করে তুলেছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
মোহাম্মদ কামাল হোসেন ১৮ বছরে ভুয়া সনদে চাকরি করে বেতন তুলেছেন ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। একইভাবে আত্মসাতের সহযোগিতা করার অভিযোগে সফটটেক কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক জহিরুল কাইয়ুমকে আসামি করা হয়েছে।
মো. নজরুল ইসলামের প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভূয়া সনদপত্রের মাধ্যমে চাকরি নিয়ে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। দুদক জানায়, শিগগির এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হবে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment