একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা সংস্থা নাসা গতকাল (২৯ জুলাই) ৬০ বছর পূর্ণ করেছে। আর এ বছর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান উদ্বোধন করবে সংস্থাটি। এরমধ্যে সূর্যকে ‘ছুঁয়ে’ দেখার পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থাটির।
নাসার মহাকাশ যান ‘পার্কার সোলার প্রোব’ সূর্যের বহিঃস্থ আবহমণ্ডলে অনুসন্ধান চালাবে। এটিকেই সূর্য ‘ছোঁয়া’ বলে অভিহিত করছে নাসা।
১৯৫৮ সালে একটি স্পেস এজেন্সি বা মহাকাশ সংস্থা গঠনের জন্য একটি বিলে সই করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইসেনহাওয়ার। এরপরই প্রতিষ্ঠা লাভ করে নাসা।
সেসময় যুক্তরাষ্ট্র ভয় পাচ্ছিল যে, তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ প্রকল্পের সঙ্গে পাল্লায় পিছিয়ে পড়বে। পরবর্তীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি বলেন-আমরা নিশ্চিতভাবেই পিছিয়ে আছি এবং মহাকাশের মনুষ্যবাহী অভিযানে আমরা কিছুটা সময় পিছিয়ে থাকবো। কিন্তু আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না।
পরে চাঁদে মানুষ পাঠাতে নাসা একটি প্রকল্প হাতে নেয়। মাত্র ১১ বছর পরই ১৯৬৯ সালে চাঁদে মনুষ্যবাহী মহাকাশ যান পাঠাতে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র। নীল আর্মস্ট্রং যখন চাঁদে পা রাখেন তখন এক নতুন ইতিহাসের জন্ম হয়। কারণ তিনিই প্রথম মানুষ যিনি চাঁদে পদার্পণ করেন।
তবে নাসা কোথায় তাদের অভিযান পরিচালনা করবে সেটি দেশটির রাজনীতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। যেমন জর্জ ডব্লিউ বুশ চাঁদে অভিযান চালাতে নাসাকে নির্দেশ দেয়। আর বারাক ওবামা তার শাসনামলে একটি গ্রহাণু ও মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালায় নাসা। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও চাঁদে অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন- এবার আমরা চাঁদে আমাদের পতাকা গাঁথা ও পদচিহ্ন রেখেই ক্ষান্ত হবো না। সেখানে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করবো যাতে মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালাতে পারি।
এদিকে ২০২০ সালের মাঝামাঝি আবারও চাঁদে পা রাখতে চান মার্কিন মহাকাশচারীরা। চলতি বছর মার্কিন কংগ্রেসে নাসার জন্য যে বাজেট পাস করা হয়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment