আব্দুল আজীজ, সাবেক ফিফা রেফারি
বিশ্বকাপের শেষ বেলায় এসে এবার সবকিছুই মনে হচ্ছে ওলট পালট। আর্জেন্টিনা , ব্রাজিল , জার্মানী, স্পেন , ইটালীর মত বিশ্বচ্যাম্পিয়ানরা কেউ নাই। সেমিফাইনালের চার দলের দুই দলের আছে একটি করে বিশ্বকাপ, বাকী দুইদল কখনো ফাইনাল খেলেনি। তাদের এর আগে সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল খেলা।
ক্রোয়েশিয়া ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মত বশ্বকাপ খেলতে এসে চমকে দিয়েছিল, বিশেষ কোয়ার্টারে তখনকার জার্মানীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল। তখন কই জানি শুনেছিলাম জার্মানী রেজিস্টার্ড ফুটবলারের সংখ্যাও নাকি মোট ক্রোয়েশিয়ার জনসংখ্যার সমান। সেই ক্রোয়েশিয়া ২০ বছর পর আবার সেমিফাইনালে এবং ফাইনালে উঠার স্বপ্ন দেখছে। তবে আমার মনে হয় এবার তাদের সম্ভাবনা কম। বরং ১৯৯৮ সেমিফাইনালে তারা ফ্রান্সের সাথে ১-০ গোলে বেশ সুবিধাজনক ভাবেই এগিয়ে ছিল। লিথিয়ান থুরাম ডিফেন্ডার হয়ে ফ্রান্সের পক্ষে এক জীবনে দুটো গোলই দিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে গোলদুটি তখনই ছিল যখন ফ্রান্সের তা সব থেকে প্রয়োজন ছিল।
বেলজিয়াম এর আগে সেমিফাইনাল খেলেছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপে। সেবার সেমিফাইনালে ম্যারাডোনার দুই গোলে হেরে যায়। হেরে গিয়ে বলে, ম্যারাডোনাকে সামলাতেই ৫ জন লাগে তাহলে আর জিতব কিভাবে!
আমার কাছে মনে হয় এই বিশ্বকাপে যত অঘটন ঘটার ঘটে গিয়েছে। প্রথম বারের মত ফাইনাল খেলবে এমন দল আমি দেখতে পাচ্ছি না। বেলজিয়াম দুর্দান্ত দল, ব্রাজিলকে হারিয়েছে, কিন্তু বেলজিয়ামের থেকে আমি ফ্রান্সকে এগিয়ে রাখব। তৃতীয়বারের মত ফাইনাল খেলবে ফ্রান্স।
অপর খেলাতেও ইংল্যান্ড পার পেয়ে যাবে বলেই আমার ধারণা। ইংল্যান্ড ফ্রান্স ফাইনাল আমি সম্ভাব্য দেখছি।
ল্যাটিন আমেরিকান দল নাই দেখে কিছুটা বিস্মিত হয়েছি। আমার ধারণা ছিল এবার অন্তত ব্রাজিলের পা ফসকাবে না। তবে আসল ব্যাপার হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালই আসলে কাপ নেওয়ার বিশ্বকাপ শুরু। এখানে কোন ঢিলা দেওয়ার সুযোগ নাই। ব্রাজিল প্রতি খেলাতেই নিজেদেরকে খুঁজে পেতে ৩০ মিনিট লাগিয়ে দেয়, সেই ৩০ মিনিটে যাদের যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। এরপর আবার প্রচুর সুযোগ তারা মিস করেছে। এখন মনে হচ্ছে সেই রোনাল্ডোর মত আরেকটা স্ট্রাইকার যেদিন ব্রাজিল পাবে, সেদিন তারা আবার বিশ্বকাপ জিতবে।
শ্রুতিলিখনঃ রাসয়াত রহমান জিকো। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment