একুশে মিডিয়া, পঞ্চগড় রিপোর্ট:
পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বৎসরে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য (এডিপি) দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অভিযোগকারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক প্রথম কিস্তিতে এক লক্ষ টাকা উত্তোলন করলে সাথে সাথে জেলা পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আকতারুন নাহার সাকী ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। উৎকোচ কেন দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, ‘প্রকল্প পাওয়ার আগেই মৌখিক চুক্তি ছিল ৫০% অর্থ উৎকোচ দিতে হবে, উৎকোচ না দিলে প্রকল্প পাচ্ছি না, তাই যা পাব তা দিয়ে জরাজীর্ণ বিদ্যালয়টি সংস্কার করব, যারা উৎকোচ দিবে তারাই পাচ্ছে প্রকল্প, এভাবে আমার প্রতিষ্ঠানসহ ঘাগড়া দ্বারিকামারী উচ্চ বিদ্যালয় ও ডাবরভাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জেলা পরিষদ হতে প্রকল্প নিয়েছে।”
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘জেলা পরিষদ সদস্য আকতারুন নাহার সাকী নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ করছে, তাই তিনি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প হতে এভাবে নির্বাচনের ব্যয়ের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন’।
অভিযোগটি পাওয়ার পরে আকতারুন নাহার সাকীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে কারো কাছে প্রকল্প বাবদ কোন প্রকার টাকা লেনদেন করি নি’। তাকে প্রধান শিক্ষকের ভিডিও স্বাক্ষাৎকার ও লিখিত অভিযোগ দেখানোর পরেও তিনি তা অস্বীকার করেন।
জেলা পরিষদ সদস্য আকতারুন নাহার সাকী পঞ্চগড় জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) সাধারণ সম্পাদক ও তার নিজস্ব এনজিও পরস্পর এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে।
জেলা পরিষদ, পঞ্চগড় এর প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বলেন, ‘জেলা পরিষদ এর প্রকল্পের সঙ্গে সদস্যদের কোন সম্পৃক্ততা নেই, তবে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment