তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করা আদিবাসী নারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পারাপার করেই চলছে তাঁদের জীবন।
এনিয়ে বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, এপারে বাংলাদেশের উত্তর ভবানীপুর গ্রাম ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা উপশহর। দুই দেশের সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম দুইটির আশপাশে দীর্ঘদিন কোনো হাট না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে যেতে হতো দূরের কোনো গঞ্জে বা শহরে। এ দুর্ভোগের কারণে এসব এলাকার সীমান্তে চোরাচালানের ঘটনাও বেড়েছিল অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু সে দুর্ভোগ বা চোরাচালানের দৃশ্যপট এখন সবই পাল্টে গেছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের আন্তরিকতায় বাংলাদেশ থেকে শাকসব্জি, মাছ, মুরগী, সাবান, সিগারেট আর ওপার থেকে বিস্কুট, চিনি, ডাল, কসমেটিক, জিরা আনা নেয়ার কাজ করে কোন রকম দিন পার করছে স্থানীয় আদিবাসী মহিলারা। স্থানীয় আদিবাসী মহিলা প্রমিলা হাজং বলেন, আমরা গরীব মানুষ, জীবন জীবিকার জন্য আমাদের এ কাজ করতে হয়। মাঝে মধ্যে খুব কষ্টে পড়তে হয় আমাদের, ওপারের দোকানীরা সুযোগ বুঝে আমাদের মাল গুলো বাকিতে রাখতে চায়, আমরা একদিন কাজ না করলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। বেঁচাকেনা শেষে কোন দিন ৫শ কোন দিন ৪শ টাকা নিয়ে লাভ হয়। এদিয়েই কোন রকম চলে আমাদের সংসার। মাটি কাটার কাজে মহিলা শ্রমিকদের চেয়ে পুরুষদের চাহিদা বেশী থাকায় আমরা এই কাজ করছি। মালামাল পারাপারের জন্য কাউকে কোন টাকা দিতে হয় কিনা জিজ্ঞাসা করলে জানান, আগে একটুকরী প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে ১শ টাকা দিতে হতো, এখন আর কাউকে টাকা দিতে হয় না।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবি সদস্য বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে সীমান্তে টহল দিচ্ছি, আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় আদিবাসীরা জীবন জীবিকার তাগিদে যে কাজটি করে খাচ্ছে তা দোষের কিছু নয়। তবে কোন প্রকার মাদক পেলে কাউকে ছাড় হয় না। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি।
No comments:
Post a Comment