ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, নির্বাচনী, ১৮ জুলাই ২০১৮ ইং এএম রিপোর্ট:
তিন সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জঙ্গি তৎপরতা ও গুজব রটানো রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকা, সরঞ্জাম, ভোটকেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনা ভেটিংয়ের পর পরিপত্র আকারে জারি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে জানা গেছে। রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন সিটিতে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নির্দেশনা সম্বলিত খসড়া পরিপত্র ইসিতে পাঠিয়েছে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা সূত্র জানায়, পরিপত্রে ভোটারদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ সাতজন পুলিশ, আনসার তিনজন এবং লাঠিসহ নারী-পুরুষ আনসার ও ভিডিপি ১২ জন মোতায়েন করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত দুইজন অস্ত্রসহ ব্যাটালিয়ান আনসার মোতায়েন করা হবে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে র্যাবের একটি টিম ও প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। গড়ে নূন্যপক্ষে পাঁচটি কেন্দ্রের জন্য একটি মোবাইল ফোর্স মোতায়েন করা হবে।
মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে দুইদিন ও পরে একদিন করে মোট চারদিন দায়িত্ব পালন করবে। আচরণবিধি প্রতিপালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভোটগ্রহণের দুইদিন আগে থেকে দুইদিন পরে পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ওয়ার্ড প্রতি একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment