একুশে মিডিয়া, লাইফ রিপোর্ট:
ভবিষ্যৎ দেখেনি কেউ, তবে আন্দাজ করে অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারে। জন্ম, মৃত্যু আর বিবাহ- এ তিন যে কখন, কোথায় হয়, তা আগে থেকে বলা সম্ভব না। কিন্তু বিয়ের পর কোন সংসার টিকবে কিনা সে বিষয়ে অনেকেই মত দিয়ে থাকেন। তবে এই বিষয়ে বর্তমানে হয়ত ফটোগ্রাফারগণ অনেককিছু সঠিকভাবে বলতে পারেন। কারণ বিয়ের সময় বর-কনের সবচেয়ে বেশি নিকটে থাকেন তারা। তাই আসুন তাদের মনের ভাবনা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
১) যাঁরা হবু দম্পতি হতে চলেছেন, বা সদ্য মালা বদল করেছেন, তাঁদের মধ্যে ভালবাসা কতখানি আছে, তাও আঁচ করতে পারেন ফটোগ্রাফাররা। অনেকসময় একে অপরের হাত পর্যন্ত ধরতে অস্বীকার করেন তাঁরা। কখনও বা লোক দেখানো বা দায়সারাভাবে ছবি তুলে পালাতে পারলে বাঁচেন। এ লক্ষণ যে ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনছে, এমনটাই মনে করেন ফটোগ্রাফাররা।
২) বরের জুতো চুরি বিয়েতে একটা মজার ঘটনা। প্রায় প্রতি বিয়েবাড়িতেই তা হয়। ফটোগ্রাফারদের অনেকে জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই প্রথা খুব নোংরা পর্যায়ে পৌঁছায়। মজা নিছক মজা থাকে না। দু’টি পরিবারই বিষটিকে ইগোয় নিয়ে নেয়। ফলে একটা অনড় অবস্থান তৈরি হয়। সে ঝামেলা যদিও বা মেটে, তবে বর-বউ নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে বিয়ের আগে বা পরে ঝামেলায় জড়ান। ফটোগ্রাফাররা তাতেই অশনি সংকেত দেখেন।
৩) আবার অনেক সময় তাঁদের নজরে পড়েছে ভিত্তিহীন বা সামান্য বিষয় নিয়েও বিয়ের দিন ঝগড়াঝাটি করেন কাপলরা। বিয়ের মতো সুন্দর অনুষ্ঠান, এবং যা কিনা জীবনের একটা স্মরণীয় দিন, সেই দিনের মাধুর্য নষ্ট করেন সামান্য ইস্যুতে। এ জিনিসকেও খুব একটা ভাল চোখে নেন না চিত্রগ্রাহকরা।
৪) অনেক ধনী বাড়িতেই আজকাল বিয়ের আগে কেক কাটার অনুষ্ঠান হয়। ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে তাঁরা দেখেছেন, হবু দম্পতিরা সকলকেই কেক খাওয়ান শুধু নিজেরা নিজেদের মুখে কেক তুলে দেন না। তাঁদের অভিজ্ঞতা বলছে, বেশিরভাগ সময়েই এই বিয়েগুলি বাতিল হয়ে গিয়েছে।
তবে কখনও সখনও বিস্ময়কর অভিজ্ঞতাও হয়েছে। যেমন উপরের লক্ষণগুলির কোনও কিছুই ছিল না। হাসিখুশি দম্পতি। একে অপরকে চোখে হারাচ্ছেন, এরকম অবস্থা। সে বিয়ে হয়েও শেষমেশ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যায় না। তবে তাঁদের সাধারণ অভিজ্ঞতা বলছে, উপরের লক্ষণগুলি মিললে সাধারণত বিয়ে টিকে না। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment