একুশে মিডিয়া:
সখীপুর থানা হাজত থেকে ছয় জুয়াড়িকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে নয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সখীপুর থানা পুলিশ। গত সোমবার (৩ জুন) রাতে সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম হোসেন বাদি হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর তারেক ও সখীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এখলাছ হায়াৎ সরোয়ারসহ নয়জন আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় সখীপুর থানা পুলিশ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রামখাঁ বাংলা বাজার থেকে জুয়া খেলার সময় ছয় জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করে। খবর পেয়ে ওই রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শওকত শিকদার তার ভাতিজা স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর তারেক ও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এখলাছ হায়াৎ সরোয়ারসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী জুয়াড়িদের ছেড়ে দিতে পুলিশকে চাপ দেয়। পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে থানা হাজতের তালা ভেঙে হাজত থেকে জুয়াড়িদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ বাঁধা দিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আতিক শিকদার সহ কয়েক জনের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে তারা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) এসএম তুহিন আলীর কক্ষে ঢুকে তাঁর সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং তাকে বদলি করার হুমকি দেয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত শিকদার ওই থানায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের তিন ভাতিজা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর তারেক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আতিক শিকদার, মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক শিকদার, ভাগ্নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বাবুল সিদ্দিকী, ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ জনি আহমেদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেবিএম রুহুল আমিন, ও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এখলাছ হায়াৎ সরোয়ার, যুবলীগ নেতা মিলন ও শ্রমিক নেতা হেলাল উদ্দিন।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম তুহিন আলী বলেন, থানা হাজতের দরজা ও তালা ভেঙে জুয়াড়িদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর তারেক বলেন, ঘটনাটি সাজানো ও পরিকল্পিত। আমরা গিয়েছিলাম ঘটনা জানতে। আসামি ছিনতাই চেষ্টার প্রশ্নই উঠে না। নেতাকর্মী নয় বরং পুলিশই আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদার বলেন, ওই সময় আমি থানায় উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আসামি ছিনতাই চেষ্টা বা পুলিশের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক কিছু হয়নি। মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক ও সাজানো মামলা করা হয়েছে। সূত্র: বিডি২৪লাইভ।
No comments:
Post a Comment