একুশে মিডিয়া রিপোর্ট:
ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অফিসে উচ্চপদে চাকরি দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। সেই প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা চাকরির দেয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
নজরুল বলেন, চক্রটি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নামে করপোরেট এলাকায় অফিস খুলে তাতে চোখ ধাঁধানো ডেকোরেশন করতো। যেন চাকরি প্রত্যাশীরা সহজেই তাদের বিশ্বাস করে। তারা কিছু ওয়েবসাইট ও প্রিন্ট ও ইলেকট্টনিক্স মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়েও চাকরি প্রত্যাশীদের আকৃষ্ট করা চেষ্টা করে। এসব বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি প্রার্থীরা তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ইন্টারভিউয়ের জন্য ঢাকায় ডাকে।
এক পর্যায়ে তারা চাকরি হয়ে গেছে জানিয়ে সিকিউরিটি মানি, পেনশন স্কিম ও ব্যক্তিগত গাড়ি দেওয়ার নামে তিন থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে নেয়। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট দিনে ওই অফিসে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ। তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এভাবে তারা ৫০ জনের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ চক্রটি।
মোল্লা নজরুল আরও বলেন, ২০১৩ সাল থেকে চক্রটি ফরচুন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, রেক্সন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ইস্টার্ন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, কেয়া গ্রুপ কোম্পানিজ, নেক্সাস গ্রুপ অব কোম্পানিজ, সানলাইট গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ম্যাক্স ভিশন গ্রুপ অব কোম্পানিজ নামে বহু মানুষকে প্রতারিত করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- সানলাইট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান তালুকদার ওরফে আল আমিন, পরিচালক খন্দকার আলমগীর হোসেন ওরফে মাছুম ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল হক ওরফে শাহজাহান মিয়া, সৈয়দ সাহারিয়ার সোহাগ ওরফে আবু শাফি তালুকদার, সানলাইট গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালেদ মাহামুদ ওরফে সবুজ মিয়া, সহকারী রহমত উল্লাহ সৌরভ, হাফিজুর রহমান আল মামুন ওরফে মামুন লস্কর, ইনছান আলী, সিরাজুল ইসলাম, নাদিম উদ্দিন, মেহেদি হাসান, হানিফ কাজী ও মামুনুর রশীদ। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment