ছবি: প্রতীকী:
একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে র্যাবের সঙ্গে এবং কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
শুক্রবার (২০ জুলাই) ভোর রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মিমতানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর লালখানবাজার মতিঝর্ণা এলাকায় র্যাবের একটি টহল দল একটি মাইক্রোবাসকে থামার সংকেত দেয়। কিন্তু তারা গাড়ি না থামিয়ে র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও তখন পাল্টা গুলি চালায়। দুপক্ষের গোলাগুলির একপর্যায়ে মাইক্রোবাস থেকে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে ওই গাড়িতে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, র্যাব সদস্যরা ওই মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ৮৫ কেজি গাঁজা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছে। নিহতদের নামপরিচয় জানাতে পারেননি র্যাব কর্মকর্তারা।
কুমিল্লা:
মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' খোরশেদ আলম (৪৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন দাউদকান্দির হাসানপুর সরকারি কলেজের বিপরীতে এ ঘটনা ঘটে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, কুমিল্লা থেকে প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় মাদকের চালান যাচ্ছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল হাসানপুর কলেজের বিপরীতে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে। রাত দেড়টার দিকে তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা খোরশেদ আলমকে বহনকারী প্রাইভেটকার আটকের সময় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুপক্ষের গোলাগুলিতে খোরশেদ গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি আলমগীর।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেটকার ও ৮০ কেজি গাঁজা এবং দুই রাউন্ড কার্তুজসহ একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment