হাসি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত, অবশেষে ক্ষমা চাইলেন নৌ মন্ত্রী-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 31 July 2018

হাসি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত, অবশেষে ক্ষমা চাইলেন নৌ মন্ত্রী-একুশে মিডিয়া

ফাইল ফটো
একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে নিহত দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মন্তব্যের সময় হাসি নিয়ে ক্ষমা চাইলেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেই দিন ওই ঘটনার পরে আমার হাসিমুখের অভিব্যক্তির জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনারা যারা আমার এই আচরণে দুঃখ পেয়েছেন তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। আমি সবার কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে আমার বক্তব্যটা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান বলেন, সেদিনের (আমার) হাস্যোজ্জ্বল মুখ ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। যা দেখে অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন। আমার মুখ সব সময়ই হাস্যোজ্জ্বল থাকে। আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা নানাভাবে কথা বলার চেষ্টা করেন। আমিও কথা বলার সময় তাদেরই কথার প্রেক্ষিতে হেসেছি কখনো, কখনো অন্যভাবে কথা বলেছি। শুধু ওইটুকুই নয়, আরও অনেক কথা হয়েছে, যদি কেউ ফুটেজ সব দেখতে পারেন, ভালো হবে। এ বিষয়ে যারা আহত হয়েছেন আমি এ জন্য দুঃখিত, লজ্জিত। সেদিন ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকরা আমার কাছে যখন জানতে চায়, আমি তখনও সে বিষয়ে কিছুই জানি না।
তিনি বলেছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে আমি মর্মাহত। ব্যথিত এবং শোকাহত। আর যেন কোনও মায়ের বুক খালি না হয় আমরা সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমিও সন্তানের পিতা। আমি কথা দিচ্ছি, অভিযুক্ত চালকদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাজাহান খান বলেন, অনেকেই বলেছেন, ঘটনা ঘটার পর আমি নিহত শিক্ষার্থীদের বাসায় সমবেদনা জানাতে গেলাম না কেন? আমি যাইনি একথা ঠিক। আমি মনে করেছি, আমার বক্তব্য নিয়ে যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে, সেই অবস্থায় সেখানে গেলে হয়তো অন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। আমি সেই পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে যাইনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে নামার পর উত্তরাগামী আরেকটি বাসের সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দেয় জাবালে নূর নামে একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১২ শিক্ষার্থী। নিহতদের একজন দিয়া খানম ওরফে মিম ও অপরজন আব্দুল করিম। কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণিতে দিয়া।
এদিকে ঘটনার পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
দুর্ঘটনার পর ওইদিনই সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী শাজাহান খান হেসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি হবে। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, যে যতটুকু অপরাধ করবে, সে সেভাবে শাস্তি পাবে।
এ সময় এক সাংবাদিক বলেন, অভিযোগ আছে যে আপনার মদদে-প্রশ্রয়ে বাসের চালকরা বেপোরোয়া। মন্ত্রী শাজাহান খান তখন হেসে বলেন, এটার সঙ্গে কি এটা রিলেটেড? আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, যে যতটুকু অপরাধ করবে সে সেভাবেই শাস্তি পাবে। ভারতের মহারাষ্ট্রে এক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গেছে, তা নিয়ে কোনও হইচই নেই। অথচ বাংলাদেশে সামান্য কোনও ঘটনা ঘটলেই হইচই শুরু হয়ে যায়।
পরে তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পরের দিন সোমবার নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে। একুশে মিডিয়া।’

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages