ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারারসন খালেদা জিয়াকে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেননি বিএনপি নেত্রী। এতে দলটিকে পরে রাজনৈতিকভাবে খেসারত দিতে হয় বলে মনে করেন অনেকে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে ফোনে কয়েক দফা আলোচনা হয় এবং তারা অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও করেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দলের সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সংলাপের নজির আরও আছে। এর আগে ২০০৬ সালে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়। তবে সেই বৈঠকও খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। রাজনৈতিক অস্থিরতা যখন চরম পর্যায়ে তখনই ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। পরে এর মাশুল দিতে হয় বড় দুই দলকেই।
এদিকে আজ শুক্রবার (২৭ জুলাই) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান রোডে মেট্রোরেলের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মেট্রোরেল পরিদর্শনে গিয়ে বললেন সেতুমন্ত্রী |
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোনে কথা বললে দূরত্ব অনেকটা কমে আসতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।’
তবে এই ফোন যে সংলাপের জন্য নয় তা পরিষ্কার করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সংলাপের কথা বলিনি। আমি বলেছি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব কখনও আমাকে টেলিফোন করেন না।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেও কোন সরকারের অধীনে হবে এটা নিয়ে আছে বিতর্ক। সরকারি দল তাদের অধীনে নির্বাচনের কথা বরাবর বলে এলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক বা সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতিতে ওয়ার্কিং আন্ডার স্ট্যান্ডিংয়ের (সম্পর্ক) জন্য বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা হতে পারে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বাকি আর মাত্র পৌনে তিন মাস। এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিক সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। সবকিছুই কি আনুষ্ঠানিক হতে হবে। চোখে দেখাদেখি না হোক, টেলিফোনে তো অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হতে পারে। এতে করে নিজেদের দূরত্ব কমে যায়। টেলিফোনে কথা বললে সমস্যা কোথায়।’
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সম্প্রসারিত হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘এটা মেরুকরণের বিষয়। নির্বাচন এলে পোলারাইজেশন হবে। দেশে অ্যালাইন্স পলিটিক্স তো আছে। বাড়তেও পারে, অনেকে জোটে আসতে চাইছে। অনেকে আবার আলাদা জোট গঠন করছে। শেষ পর্যন্ত এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় দেখা যাবে। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment