ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, বিশেষ রিপোর্ট:
দেশের কোটা ব্যবস্থা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। এই কোটা দেশের একমাত্র ‘দুর্নীতি বান্ধব’ একটি কোটা বলে মন্তব্য কছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
এসময় তিনি বেশকিছু উদাহরণ দেন। বলেন, ‘আমি একজন ছেলে, কিন্তু মেয়ে সেজে নারী কোটার মাধ্যমে চাকরি নিতে পারবো না। আমি বাঙ্গালি, আদিবাসী সেজে চাকরি নিতে পারবো না।’
‘কিন্তু আমার পক্ষে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে চাকরি পাওয়া সম্ভব। এইটার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আপনার অনেক আগেই পেয়েছেন। তবুও বলছি, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের যিনি সচিব ছিলেন উনি নিজেই একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিল। এই খবরটা দেশের সকল পত্রিকায় এসেছ। এমনকি চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ভুয়া সনদও ব্যবহার করা হয়েছে। আর এই অভিযোগে একাধিক সচিবের নামও ছিল’ বলেও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল
গত (১৫ জুলাই) বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বলা হয় অনগ্রসর। আপনি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের অনগ্রসর বলেন! আমাদের দেশে সরকার দলসহ
বিরোধী দলের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাহলে তারা কি সবাই অনগ্রসর? তবে আপনি অনগ্রসর বলতে পারেন যারা পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা তাদের।’
বিরোধী দলের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাহলে তারা কি সবাই অনগ্রসর? তবে আপনি অনগ্রসর বলতে পারেন যারা পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা তাদের।’
‘বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আছে আড়াই হাজার, যদি প্রতি পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন করে ধরা হয় তাহলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় দশ লাখ। ২০ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে দশ লাখ মানুষ হয় আধা শতাংশ। এই আধা শতাংশর জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখার মানে কি?’
উক্ত টকশোতে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ।
তিনি বলেন, ‘মুল সমস্যা হচ্ছে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাবনা মুজিব বাদে যে প্রকল্প ছিল সেটা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে তিনি ভাষণে বলেছিলেন- ‘বিজয় অর্জনের পরে অনেকেই রাতারাতি গোল পালটিয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন। আমাদের সবাইকে মিলে তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমাদের সবার এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment