ড. মোহাম্মদ হাসান খান
একুশে মিডিয়া:
ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি স্বপ্নের নাম। অনেক কটাক্ষ আর সমালোচনার মধ্যেই এ স্বপ্নের জন্ম। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ পেয়েছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার এক অনন্য পদক্ষেপ হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কনসেপ্ট। এটি বাস্তবায়িত হয়েছে বলে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সুবিধা আজ জনগণের হাতের মুঠোয়। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, সোলার, মোবাইল আজ শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। এর স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়।
২৭ জুলাই শুক্রবার তাঁর জন্মদিন। এদিনে তাঁকে জানাই জন্মদিনের অনিঃশেষ শুভেচ্ছা।
তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্বে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পেছনের সারিতে ছিল। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার কথা দশ বছর আগেও কেউ ভাবেনি। ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের প্রস্তাব রাখেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়। এরই পরিপেক্ষিতে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কনসেপ্টটি নির্বাচনী ইশতেহারভুক্ত করে আওয়ামী লীগ। এই প্রস্তাবনাটি কেবল বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্তই ছিল না, এটি ছিল বিশ্বের সাথে সমানতালে এগিয়ে চলার অনন্য এক অভিযাত্রা।
সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ অনলাইনে করাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে জয় উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে তথ্যপ্রাপ্তি এখন অনেক সহজ হয়েছে। সম্প্রতি এক বক্তব্যে জয় বলেছেন, দেশের সরকারি যত সেবা আছে, তা দেশের সকল মানুষের হাতের মধ্যে পৌঁছে দেবো। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবো। দেশের মানুষকে আর সরকারি দপ্তরে আসতে হবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন।’ এ বছর মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
সরকার এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কয়েক বছর আগেও এটি ছিল স্বপ্নের মতো। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বর্তমানে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে বৈশ্বিকভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য যৌবনের দূত জয়কে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার চেতনা কোনোদিন ভুলবেন না। ভুলতে দেবেন না। আর কাউকে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেবেন না। এমন মিথ্যা প্রচারের সুযোগ দেবেন না, যাতে জাতি শহীদদের ভুলে যায় এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি হয়। জয় বলেন, দেশের মানুষের সেবা করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। বিশেষ কোনো শ্রেণির উন্নয়নের রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উন্নয়নের রাজনীতির কথা বলেন তিনি। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মেধা আছে, ঐতিহ্য আছে, শিক্ষা আছে আমাদের চুরি করার প্রয়োজন নেই।’
বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নিয়ে করা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তিনি শক্তিশালী অবস্থান নেন। নেতাদেরকেও অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র রুখতে সচেতন হওয়ার জোর তাগিদ দেন। কারণ তিনি জানেন, অপপ্রচার রুখতে না পারলে সরকারের কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। তাই তিনি মনে করেন, জনগণকে কেউ যাতে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্যে নেতাকর্মীকে অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে এবং সরকারের সফলতা গুলো জনগনের কাছে বারবার তুলে ধরতে হবে। মানুষের ভুল ধারণাগুলো ভাঙতে হবে। সরকারের উন্নয়নগুলোর ব্যাপক প্রচার ও মাধ্যম হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হাসান খান
সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চাঁদপুর জেলা।
No comments:
Post a Comment