ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন’ তথা ‘আসুন আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলি’ এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই মার্কিন জনগণকে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন মিডিয়া সেলিব্রেটি ও ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প।
‘মেইক পাকিস্তান গ্রেইট এগেইন’- আসুন পাকিস্তানকে আবার মহান করে তুলি বলে ঠিক ট্রাম্পের মতো করেই পাকিস্তানে প্রচারণা চালিয়েছেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক ইমরান খান।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে এসে রাজনীতিতে নেমেছিলেন ইমরান খান। তার আগেই ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটির বড় তারকায় পরিণত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজনীতিতে নামার অনেক পরে ২০১৩ সালে এসে রাজনীতিতে সত্যিকার অর্থেই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন।
বিশ্লেষকদের ধারণা, এবারের নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদটির খুবই কাছাকাছি আছেন। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সাবেক এ ক্রিকেটার। তবে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই নানাদিক দিয়ে ইতিমধ্যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মেলাচ্ছেন। বলছেন, পাকিস্তানের নয়া ট্রাম্প ইমরান।
এদিকে তার জয়ের সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশ ভারতের গণমাধ্যম তাকে ‘তালেবান খান’ আখ্যা দিয়েছে। ভারতের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ইমরানের বিজয় এই অঞ্চলে ভারতের জন্য সমস্যার হতে পারে। আরও দাবি করেছে, দলের প্রতি জনগণের সমর্থন পোক্ত করতে প্রাচরণায় ভারতবিরোধী স্লোগান ব্যবহার করেছেন ইমরান।
এছাড়া পাকিস্তানের নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোকেও সমর্থন দিচ্ছেন বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়া বা তাকে নির্বাচন করা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল বা সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের রাজনীতির ক্ষেত্রে একমাত্র ইমরান খানকেই তার সঙ্গে তুলনা চলে। রাজনীতির খেলা তারা কিভাবে খেলছেন তার ওপর ভিত্তি করেই এ তুলনা করা হয়েছে। রাজনীতির এ খেলায় জেতার জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত তারা।
দু’জনই ধনকুবের ও সেলিব্রেটি
ট্রাম্প ও ইমরান- দু’জনই ধনকুবের। সঙ্গে সঙ্গে সেলিব্রেটি ব্যক্তিত্ব। ট্রাম্প মিডিয়া জগতের সাবেক তারকা। ইমরান ক্রিকেট তারকা। রাজনীতির ক্ষেত্রে নিজেদের উপস্থিতি একান্তই আবশ্যক বলে মনে করেন উভয়ই।
‘মেইক পাকিস্তান গ্রেইট এগেইন’
আমেরিকাকে মহান করে তোলার ডাক দিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অব্যাহতভাবে বিতর্কিত সব পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দুই বছরের মাথায় তার কিছুটা প্রভাব টের পাচ্ছে মার্কিন জনগণ। একইভাবে পাকিস্তানকে আবার মহান করে তোলার ডাক দিচ্ছেন ইমরান। তার ‘নয়া পাকিস্তানে’র এ ডাকে বেশ সাড়াও পেয়েছেন তিনি। ইমরানের প্রত্যেকটা কথা বাস্তবায়নে প্রস্তুত তরুণরা।
ডানপন্থীদের কাছে ধরনা
ট্রাম্প এবং ইমরান উভয়ই নিজ নিজ দেশের ডানপন্থীদের সমর্থনপুষ্ট। মার্কিন শ্বেতাঙ্গদের প্রতি বরাবরই আনুকূল্য ও সহানুভূতি দেখিয়ে আসছেন ট্রাম্প। পাকিস্তানে ধর্মীয় ডানপন্থীদের ব্যাপারে একই আনুকূল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইমরানের ক্ষেত্রে। ‘তালেবানের জনক’ খ্যাত মাওলানা সামিউল হক ইমরানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। অন্যদিকে উদারপন্থীদের ভোটের আশা করলেও তিনি বারবার সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করেছেন তাদেরকে। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment