একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
সময় এসেছে মাদক মামলার বন্দিদের জন্য বিশেষ কারাগার করার। বঙ্গোপসাগরের কোনও দ্বীপ বা বিচ্ছিন্ন কোনও স্থানে সেই কারাগার হতে পারে। এতে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাটাও সহজ হবে। বললেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
আজ(রোববার) রাজধানীর একটি হোটেলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্ত আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা জানান।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ৩৭ হাজার বন্দির ধারণক্ষমতার জেলখানায় ৯০ হাজার বন্দি রয়েছে, যাদের ৪৪ ভাগই মাদক মামলার আসামি। তার মানে জেলখানার ধারণক্ষমতার সমপরিমান মাদক সংশ্লিষ্টতায় বন্দি রয়েছে। তাই সময় এসেছে এসব বন্দিদের জন্য বিশেষ জেল করার।
তিনি বলেন, ৪ মে থেকে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে র্যাবের প্রায় ২ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলার নিষ্পত্তি হতে অনেক দিন লেগে যাবে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টি বিবেচনায় এনে মাদক মামলার বিচারে প্রতি জেলায় বিশেষ আদালত গঠন করা যেতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের দিয়ে প্রতি জেলায় একটা করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ আদালত করা যেতে পারে।
র্যাব ডিজি বলেন, বর্তমানে যদি ৬০ লাখ মাদকসেবী হয়, তারা প্রতিদিন যদি একটি করেও ইয়াবা সেবন করে তাহলে ১৮০ কোটি টাকা, আর বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে হিরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল মিলে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার বাণিজ্য। মাদকের সাথে জড়িতদের পানিশমেন্ট হতে হবে। মাদক বিক্রয়, সেবন সবক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সাজার বিধান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। এটি দেশের ১৬ কোটি মানুষের চাহিদা। আমার এতে বিজয়ী হয়েই ফিরবো। একুশে মিডিয়অ।’
No comments:
Post a Comment